Monday, June 23, 2025
Homeসম্পাদকীয়লালমোহনে শিক্ষক লাঞ্চনার স্বীকার, মেনে নেয়া কষ্টকর

লালমোহনে শিক্ষক লাঞ্চনার স্বীকার, মেনে নেয়া কষ্টকর

ছোট বেলায় নাটক সিনেমায় দেখেছি, স্থানীয় প্রভাবশালী চেয়ারম্যান এলাকাকে অশিক্ষিত রাখার জন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী করতে দিতনা। বা শিক্ষিত সমাজকে ঘৃনা করত, কারন সে নিজে অশিক্ষিত। মুখ্য চেয়ারম্যান কোন শিক্ষিত লোক থাকলে চেয়ারম্যানের মিথ্যা বিচারের প্রতিবাদ করবে বা চেয়ারম্যান এর অশিক্ষিত সন্ত্রাসী সন্তানের কর্মকান্ডে প্রতিবাদ করবে। তাই শিক্ষকের উপর মিথ্যা অপবাদ দিত, স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিত। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগ সরকারের ডিজিটাল যুগ। এই যুগে কেউ অন্যায় করে পার পায় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন অন্যায় মেনে নেন না। ভোলা-৩ আসনের সাংসদ ও এই শিক্ষকের উপর হামলা মেনে নেবেননা বলে আমি মনে করি।   

সম্প্রতি ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর সুযোগ্য পুত্র মোবাইলে প্রথমে হুমকি দিয়ে পরে তার পা-চাটা কুকুর বাহিনী নামে পরিচিত কিছু মানুষ রূপি জানোয়ার দিয়ে একজন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে লাঞ্চিত করেছে। যা সত্যিই দুঃখজনক। যার নিন্দা জানানোর ভাষা জানা নেই।তবে অনুমেয় যে, একজন শিক্ষকের উপর শুধুমাত্র মানুষরূপী পশু হামলা করতে পারে। কোন শিক্ষিত মানুষের সন্তানের পক্ষে সম্ভব নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিবেদন, স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য স্নাতক ও মেম্বার হওয়ার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পাশ হওয়ার বিধান চালু করার জোর দাবী জানাচ্ছি। তা নাহলে ভবিষ্যতে অশিক্ষিত জনপ্রতিনিধির হাতে প্রতিনিহত শিক্ষিত সমাজ লাঞ্চনার স্বীকার হবে।   

মূল সংবাদঃ

ভোলার লালমোহনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ফোন দিয়ে ডেকে এনে বাজারের মধ্যে প্রকাশ্যে জুতোপেটা করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ভাতিজা মাইনুদ্দিন, ভাগ্নে রুবেলসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে। রোববার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে ওই ইউনিয়নের দেবীরচর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। লাঞ্ছিত ওই শিক্ষকের নাম মোঃ কবির হোসেন। তিনি ‘দেবীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ এর প্রধান শিক্ষক। বর্তমানে তিনি লালমোহন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। প্রধান শিক্ষক মোঃ কবির হোসেন বলেন, আজ (রোববার) সকালে আমার মুঠোফোনে কল দেয় বদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদ উল্লাহ মেলকারের ছেলে মোঃ রাসেল মেলকার। এসময় আমার উপর ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগ তুলেন তিনি। আমি তার অভিযোগ অস্বীকার করলে ফোন কেটে দেয় রাসেল। কিছুক্ষণ পর কবির হাওলাদার নামে আরেকজন ফোন দিয়ে কাজ আছে বলে দেবীরচর বাজারে যেতে বলে। ওই বাজারে পৌঁছামাত্রই আমার উপর অতর্কিত হামলা শুরু করে কবির হাওলাদার, চেয়ারম্যানের ভাতিজা মাইনুদ্দিন ও রুবেলসহ আরও কয়েকজন। একপর্যায়ে তারা পা থেকে জুতা খুলে প্রকাশ্যে বাজারের মধ্যে জুতোপেটা করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করেন। এসময় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ওই শিক্ষক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য