জাহিদ দুলাল, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বুক জোড়া লাগা দুই যমজ কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছেন সাহিদা বেগম নামের এক প্রসূতি। জন্মের পরপরই মারা যায় শিশু দুইজন। জন্মের পর দেখা যায় শিশু দুই জনের লিভার ও খাদ্যনালী বাহিরে বের হয়ে রয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ পারভীন, খাদিজা আফরোজ ও লতা হালদারের প্রচেষ্টায় এ দুই যমজ কন্যা শিশুর জন্ম হয়। যমজ ওই দুই কন্যা শিশু প্রসব করা সাহিদা উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের লেঙুটিয়া এলাকার মাহমুদ হাওলাদার বাড়ির শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী।
শাহাবুদ্দিন জানান, গত বছর খানেক আগেও একজন মৃত কন্যা শিশু জন্ম দেয় তার স্ত্রী। এবারও এক সঙ্গে দুইজন মৃত শিশুর জন্ম হয়েছে। ঠিক কি কারণে এমনটা হচ্ছে তার সঠিক ধারণা করতে পারছেন না শাহাবুদ্দিন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ পারভীন বলেন, হাসপাতালে আনার ১০ মিনিটের মধ্যে ওই নারী দুইজন যমজ শিশু প্রসব করেন। তবে দু’জনই মৃত ছিল। আবার এদের বুক জোড়া লাগা ও লিভার-খাদ্যনালীও বাহিরে ছিল। অন্যদিকে গর্ভে আসার সাড়ে ৬ মাসের মাথায় জন্ম হয় শিশুদের।
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. মহসিন খান বলেন, কনজেনিটাল এ্যানমালিসের কারণে এমন শিশুর জন্ম হয়েছে। খবর শুনে আমি শিশু দু’জনকে দেখেছি। আমাদের কর্তব্যরত নার্সরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক ছিল।