এস এম উদ্দিন
আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বিশ্বের সকল মুসলিম দেশ নিত্যপন্যের দাম কমিয়ে দেয়, সেখানে আমাদের বাংলাদেশে কতিপয় মুনফিালোভী ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমুলের দাম প্রতিনিয়ত বাড়াতে থাকে। গত দুই সপ্তাহে বড় বড় কিছু ব্যবসায়ীরা সিন্টিকেট করে তেল, ডাল, চিনি, ছোলা, পেয়াজ, খেজুর, দুধ, চিড়া সহ সকল প্রকার নিত্য পন্যের দাম তাদের ইচ্ছামত বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে চরম বিপাকে পরে মধ্যবিত্ত ও নিম্মমধ্যবিত্ত মানুষেরা।
গত দুই সপ্তাহে, ডিম, বয়লার মুরগী ও কক মুরগীর দাম এবং গরু ও খাসীর মাংসের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। দাম বাড়ানোর এই প্রতিযোগিতা দেখে মনে হয় বাংলাদেশে পণ্যের মূল্য নির্ধারনের কোন সরকারী প্রতিষ্ঠান বা এসব দেখার বা মনিটরিং করার কেউ নেই। ব্যবসায়ীদের পণ্যের দাম বাড়ানোর অনুমতি নেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম বৃদ্ধির এই অবস্থা দেখে মনে হয় পন্যের মুল্য বৃদ্ধি বা হ্রাস করা ব্যবসায়ীদের হাতে। আর কিছু ব্যবসায়ীরা সরকারকে জিম্মি করে রেখেছে। প্রতিটি ব্যবসায়ীর মনে রাখা উচিত, ব্যবসার মাধ্যমে মুনাফা করা হালাল, কিন্তু অতিরিক্ত মুনাফা করা, পন্যের সংকট দেখিয়ে পন্য মওজুদ করে অতিরিক্ত মুনাফা করা হারাম।
আগামী মাস পবিত্র রমজান মাস। এই পবিত্র মাসে যাহাতে প্রতিটি মুসলমান রোজা রাখতে পারে সেই জন্য নিত্য প্রযোজনীয় পন্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে প্রতিটি বড় বড় ব্যবসায়ীর কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।