রংপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এক যুবককের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম মুসফিকুর রহমান (৩৪)। তার বাড়ি বদরগঞ্জ উপজেলায়। রায়ে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে একলাখ টাকা দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া জোর করে গর্ভপাত করার অভিযোগে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত মোসফেকুর পলাতক ছিল।আদালত সূত্রে জানা গেছে, বদরগঞ্জের জাম্বুবাড়ি গ্রামের দশম শ্রেণির (১৬) এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মোসফেকুর রহমান (২৪)। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাকে ধর্ষণ করে। এর পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার মুসফিক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে মুসফিক বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং জোর করে গর্ভপাত ঘটায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বড়ভাই বাদী হয়ে ২০১০ সকালে ২২ মে মোসফেকুরকে আসামি করে বদরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ ১০ বছর মামলার চলার পর বুধবার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর পিপি জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বলেন, জামিনে থাকা অবস্থায় অভিযুক্ত আসামি আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন। তবে রায় ঘোষণার দিন তিনি পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতেই বিচারক রায় ঘোষণা করেছেন ।