Monday, October 2, 2023
Homeঅপরাধভূঞাপুরে মাদরাসা ছাত্রীকে অপহরণ, আসামীকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

ভূঞাপুরে মাদরাসা ছাত্রীকে অপহরণ, আসামীকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মাদরাসা ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে আব্দুল হাই নামের একজন আসামীকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু আটকের দিনই রাত ১১টার দিকে ছেড়ে দেয় হয়। এরআগে গত শনিবার (২১ জানুয়ারি) অপহৃত ওই শিক্ষার্থীর চাচা অপহরণের ঘটনায় উপজেলার গোবিন্দাসী এলাকার দুইজনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ মামলার দুই নম্বর আসামী আব্দুল হাইকে আটক করে।

এদিকে মেয়ে অপহরণ হওয়ার পর কয়েকদিনেও উদ্ধার না হওয়ার শোকে শিক্ষার্থীর মা অসুস্থ্য হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার গাবসারা এলাকার ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মাদরাসার ছাত্রীকে উত্যক্ত করতো সিয়াম নামের একজন বখাটে। পরে ওই শিক্ষার্থীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় সে। কিন্তু প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত শুক্রবার সিয়াম তার বাবার সহযোগিতায় মেিেটকে গোবিন্দাসী ঘাটপাড় এলাকা থেকে অপহরণ করে। তখন থেকে মেয়েটির আর খোঁজ না পেয়ে ওই শিক্ষার্থীর চাচা বাদী হয়ে শনিবার সিয়াম ও তার বাবা আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করে। পরে রবিবার সন্ধ্যার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সালাম মামলার দুই নম্বর আসামী সিয়ামের বাবাকে আটক করে। কিন্তু আটক করে থানায় আনার পর ওইদিন রাত ১১টার দিকে শিক্ষার্থীকে হাজির করার শর্তে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

মামলার বাদী ও শিক্ষার্থীর চাচা সাইফুল ইসলাম বলেন, গত শুক্রবার মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়েছে। মেয়েকে না পেয়ে তার মা অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ মামলার আসামীকে গ্রেপ্তার করে থানার হাজতে রাখার পর কিভাবে তাকে ছেড়ে দেয়। পুলিশ রাতে আমাদের ফোন করে ডেকে নিয়ে আসে। কিন্তু মেয়ে উদ্ধারকে না করে আসামীকে ছেড়ে দেয়া হয়। থানার ওসি আসামীকে বলে মেয়েকে মঙ্গলবারের মধ্যে হাজির করতে। আমরা গরীব অসহায় মানুষ আমার ভাতিজিকে ফেরত চাই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, অপহরনের পর মেয়েটির চাচা সিয়াম ও তার বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়। পরে সিয়ামের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসি। তবে ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মামলায় নাম আছে ঠিক আছে কিন্তু তদন্ত করার পর সেটি প্রমাণ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদুল ইসলামের সাথে মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

জেলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ঘটনার বিষয়টি জানা নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য