বিয়ের ১ বছর পর গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় বিয়ের ১ বছর পর ঐশি খাতুন নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।নিহত ঐশি খাতুন (২১) একই গ্রামের মাহাবুল ইসলামের মেয়ে। মেয়ের সুখের জন্য জাহিদকে নগদ তিন লাখ টাকা এবং এক লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল কিনে দেন। এরপরও নগদ আড়াই লাখ টাকার জন্য স্ত্রী ঐশির ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে জাহিদ। মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত বছর ২৫ জানুয়ারি ঐশি খাতুনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রাম আওতাপাড়া নুরজাহান স্কুলসংলগ্ন হারুন প্রামাণিকের ছেলে জাহিদ হোসেনের (২৫) বিয়ে হয়। মামলার বাদী নিহত ঐশির মা সাহানারা খাতুন লিখিত এজাহারে জানান, বিয়ের সময় নগদ টাকা, আসবাবপত্র নেয় জামাই জাহিদ। এরপরও যৌতুকের জন্য ঐশিকে প্রায়ই মারধোর করতো সে। ৩১ শে অক্টোবর শনিবার বিকালে আবারও টাকার জন্য ঐশির ওপর নির্যাতন শুরু করে জাহিদ। এ সময় জাহিদ তার মা মরিয়ম (৫০), ভাই মকলেছুর রহমান (৩২) ও ভাবী রেশমা খাতুনের (২৮) সহযোগীতায় পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে ঐশিকে হত্যা করে।

ঐশির মরদেহ ঘরে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। বাড়ির পার্শ্ববর্তী লোকজনের কাছে খবর পেয়ে ঐশিকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত ঐশির ৭ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার স্বামী জাহিদ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স কোম্পানিতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত। নিহত ঐশির খালা রূপা বলেন, যৌতুক ছাড়াও জাহিদ পরকীয়ায় লিপ্ত। যার কারণে প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া বিবাদ হতো। তিনি বলেন, ঐশির মৃত্যুর পর ফ্যানের ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালানো হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here