ভিয়েতনাম ও কাতার (মধ্যপ্রাচ্য) ফেরত ২১৯ জনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে উচ্চ আদালতকে জানিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালত। এখন থেকে তাদের আর এ মামলায় হাজিরা দিতে হবে না বলে জানানো হয়।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত লিখিতভাবে তা জানান। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও ফুয়াদ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ভিয়েতনাম ফেরত রহমান নামের একজন ৫৪ ধারার তদন্ত কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। পরে হাইকোর্ট বিভাগ ওই তদন্ত কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। পাশাপাশি কার্যক্রম বাতিলে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেন।
তিনি আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে ২১৯ প্রবাসী দেশে ফেরত আসার পর তাদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। তারা সেসব দেশে বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়। দেশে আসার পর তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হলে তুরাগ থানায় জিডি করে তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে চাঁদপুরের শাহিন আলম তার বিরুদ্ধে ৫৪ ধারায় চলমান কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
গত ৮ অক্টোবর হাইকোর্ট শাহিনের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন। পাশাপাশি ঢাকার সিএমএমের কাছেও ব্যাখ্যা চান উচ্চ আদালত।
এদিকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার সংক্রান্ত আপিল বিভাগের নির্দেশনা বাস্তবায়িত না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, এই রায়টি বাস্তবায়নের দিকে নজর দেয়া উচিত। আমরা সেভাবেই পর্যবেক্ষণ দেব। যাতে রায়টি সবাই অনুসরণ করে।