দেশে ২৪ ঘণ্টায় আড়াই হাজারের বেশি মানুষ করোনা শনাক্ত হয়েছেন। গত তিন মাসের মধ্যে এটা সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড।
এছাড়া এ সময়ে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকালে কোভিড-১৯ রোগের হালনাগাদ তথ্য জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য দেয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত একদিনে ১৫ হাজার ৩৭২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫২৫ জন।
নতুন আক্রান্ত নিয়ে দেশে মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৬৪ হাজার ৯৩২ জন। আর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ছয় হাজার ৬৪৪ জন হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও দুই হাজার ৫৩৯ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা ৩ লাখ ৮০ হাজার ৭১১ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। তা সাড়ে ৪ লাখ পেরিয়ে যায় ২৪ নভেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। ৪ নভেম্বর তা ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়।
এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এদিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিড-১৯-এর যে তিন কোটি ডোজ টিকা সরকার কিনতে যাচ্ছে, তা মানুষকে বিনা মূল্যে দেয়া হবে। তবে কারা আগে পাবে, তা ঠিক হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল এই বৈঠক হয়। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
ইতিমধ্যে এই টিকার জন্য বাংলাদেশ সরকার, শ্রীরাম ইনস্টিটিউট ইন্ডিয়া ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে চুক্তি হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এই টিকা কেনার জন্য ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিন কোটি টিকা সরকার কিনবে; কিন্তু মানুষ বিনা মূল্যে পাবে।
কয়েক দিন আগে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিড-১৯-এর তিন কোটি ডোজ টিকা কিনবে বাংলাদেশ।