মার্কিন নির্বাচনে হেরে গিয়ে অনেকটাই এলোমেলো ডোনাল্ড ট্রাম্প। একবার পরাজয় মেনে নেয়ার ইঙ্গিত দিয়ে পরক্ষণেই তার উল্টো টুইট করছেন। সবশেষ টুইটে ফের ইউটার্ন নিলেন ট্রাম্প। কখনও পরাজয় মানবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। অথচ এর কয়েক ঘণ্টা আগে টুইটে ট্রাম্প হার মেনে নেয়ার ইঙ্গিত দেন।
স্থানীয় সময় সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনকে প্রস্তুতি শুরু করার চিঠি দিয়েছে। এ চিঠি দেয়ার কিছুক্ষণ পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প জিএসএপ্রধান এমিলি মারফিকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেন।
এতে বিষয়টি পরিষ্কার হয় যে, ট্রাম্প নমনীয় হয়েছেন। তিনি ক্ষমতা হস্তান্তরের পথে হাঁটছেন।
এর মাত্র পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে সোমবার মধ্যরাতে দেয়া আরেক টুইট বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্নীতির নির্বাচনে তিনি কখনও পরাজয় মেনে নেবেন না। ভুয়া ব্যালটের কাছে তিনি কখনও পরাজয় মেনে নেবেন না।
সকালে আরেক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, মনে রাখবেন- জিএসএ দুর্দান্ত এবং এমিলি মারফি দারুণ কাজ করেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন, সেটি জিএসএ ঠিক করে দেয় না।
মার্কিন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ট্রাম্পের বারবার এ অবস্থান বদলকে তার চারিত্রিক দৃঢ়তার দুর্বলতা হিসেবেই দেখছেন। তারা বলছেন, অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে, ভোট কারচুপির অভিযোগ নিম্ন আদালতে খারিজ হওয়ার পর এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প সুপ্রিমকোর্টের দিকে তাকিয়ে আছেন।
এর আগেও ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক টুইটে একবার নির্বাচনে ভরাডুবি মেনে নেয়ার ইঙ্গিত দেন। পরক্ষণেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলেন।
গত ১৪ নভম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের জয় স্বীকার করে নিয়ে পরক্ষণেই সুর পাল্টান ডোনাল্ড ট্রাম্প।