মোঃ সোয়েব মেজবাহউাদ্দন
সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিদিন কেড়ে নিচ্ছে তাজা প্রান। বাস চালকের বাস চলাকালীন মোবাইলের মাধ্যমে কথা বলার কারনে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বাস দূর্ঘটনার স্বীকার হয়। আহত হয় আরও কিছু যাত্রী। প্রতিটি মানুষ চায় নিরাপদে সড়ক। কিন্তু সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিদিন বেড়েই চলছে। আর এর জন্য দূর্ভোগ পোহাচ্ছে নিহত পরিবারের লোকজন।
এই মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিদিন রোধ করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হচ্ছে, শিক্ষিত বাস চালক নিয়োগ দেয়া। কারন শিক্ষিত বাস চালক সব সময় সতর্কতার সাথে বাস চালাবে। বাসের যাত্রীদের জীবনের প্রতি সে সতর্ক থাকবে। তার পরও সড়ক দূর্ঘটনা রোধ করার জন্য একটি সড়ক দূর্ঘটনার পর মামলা হলে আপিলের সুযোগ না দিয়ে সরকারী তদন্ত সাপেক্ষে যখন দ্রুততার সাথে বিচারের ব্যবস্থা করে দোষী ব্যক্তিতে শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করলে সড়ক দূর্ঘটনা কমে আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। কারন কঠিন শাস্তির ভয়ে চালকরা নিরাপদে গাড়ী চালাবে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক দূর্ঘটনার বিচার সম্পন্ন করা জরুরী।
আবার প্রতিটি গাড়ির চালকের সঠিক লাইসেন্স আছে কিনা তা ঘন ঘন পরীক্ষা করা হলে সড়ক দূর্ঘটনা কমে আসবে। তবে দেশের সড়ক, রেল, নৌ পথে প্রতিদিন মারাত্নক দূর্ঘটনার স্বীকার হয়ে ষ্পটে যাত্রীরা মারা যাচ্ছে, আহত হয়ে বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পেয়ে মারা যাচ্ছে। অনেক মা তার সন্তান হারাচ্ছে, অনেক স্ত্রী তার স্বামী হারিয়ে অসহায় হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কেউ তাদের খোঁজ নিচ্ছে না। সম্প্রতি সরকার সড়ক দূর্ঘটনায় আহতদের সরকারী ভাবে চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বিগত দিনে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত বা আহতদের জন্য সরকার সামান্য পরিমান আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছে। ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাঝে মাঝে তাদের সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে, তাদের কেউ কোন প্রকার খোঁজ নিচ্ছে না কেন ? বিনা চিকিৎসায় অনেকে পঙ্গু হয়ে দূর্বিসহ জীবন যাপন করছে। প্রতিটি বাস এবং বাসের প্রতিটি যাত্রী যাহতে বীমাকৃত হয় তা বাধ্যতামূলক করা উচিত। এতে সড়ক দূর্ঘটনা মৃত ব্যক্তি ও আহত ব্যক্তির স্বজনরা আর্থিক সহযাগিতা পেলে তাদের অনেক উপকার হবে। এবং গাড়ী বীমাকৃত করা হলে গাড়ীকে বীমা কোম্পানীর নিয়ম মেনে চলতে হবে। তখন চালকরা সতর্কতার সাথে গাড়ী চালাবে। আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশে নিরাপদ সড়ক হবে এটাই কামনা করি।