জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘মিথ্যা তথ্য’ দিয়ে পোস্ট করার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় সাময়িক বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ সাইফুল করিম ওরফে সাইফ আমিনকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে তাকে ১৮ মাস কারাভোগ করতে হবে।
আজ সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।তবে জরিমানার টাকা জমা দিলে আসামির কারাভোগ করতে হবে না বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক দুই ধারায় এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে ৯ মাসের কারাভোগ করতে হবে। এছাড়া একই আইনের ২৯ (২) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে তিন লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে ৯ মাসের কারাভোগ করতে হবে। দুই ধারার সাজা পৃথকভাবে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর আইনজীবী মোহাম্মদ হায়দার তানভীরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বরখাস্তকৃত পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মাহমুদ সাইফুল করিম ওরফে সাইফ আমিন জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী ক্লাবে জুয়ার আসর থেকে ১৮০ কোটি টাকা আয় করেন- ফেসবুকে এমন মিথ্যা পোস্ট দেন। যা আদালতে আমরা ৮ জন সাক্ষী ও যুক্তিউপস্থাপন করে মিথ্যা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী জুয়ার আসর থেকে ১৮০ কোটি টাকা আয় করেছেন এমন পোস্ট দেন ইন্সপেক্টর মাহমুদ সাইফুল আমিন।
এ ঘটনায় একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-শামস জগলুল হোসেনের আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদ সাইফুলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় বাদী সামশুল হক চৌধুরীসহ ৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন।