শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরত সব শিক্ষার্থী গণঅনশনে যোগ দেবেন। তারা একযোগে চলমান গণঅনশনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ সোমবার দুপুর দেড়টায় সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, চিকিৎসা চলাকালে কোনো অনশনকারী হাসপাতালের খাবার গ্রহণ করেনি। এবার আমরা সব শিক্ষার্থী গণঅনশনে যোগ দিব।
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে অনশনে ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহিন শাহিরিয়ার রাতুল। অনশনের দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু হয় থেমে থেমে ব্যথা। তবুও ভাঙেননি অনশন। অবশেষে ধরা পড়ে অ্যাপেন্ডিসাইটিস। হয় অস্ত্রোপচার। তবুও চলছে তার অনশন। এদিকে এখনো অনড় অবস্থাতেই চলছে শাবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন। ইতোমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৭ জন। শুরুতে ২৪ জন অনশন শুরু করলেও নতুন করে গণঅনশনে যুক্ত আছেন আরও পাঁচজন। গতকাল রোববার বিকালে অ্যাপেন্ডিসাইটিস শনাক্ত হলে রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে রাগিব রাবেয়া হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। যার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে মূল ফটকে তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আইডি কার্ড ছাড়া কাউকেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
অপরদিকে রোববার বিকাল থেকে উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটকের সামনে মানব দেওয়াল তৈরি করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছেন উপাচার্য। সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় উপাচার্যের বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ। এতে ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।