ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলায় এ বছর ১৯টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর দুর্গাপূজা হয়েছিল ১৬টি মণ্ডপে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আগামী ২ অক্টোবর সমাপ্ত হবে এ মহোৎসব। পূজাকে ঘিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
লালমোহন পূজা উদযাপন কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি নিরব কুমার দে বলেন, ‘আবহমান কাল থেকেই শারদীয় দুর্গোৎসব আমাদের একটি বড় ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসবকে ঘিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ বিরাজ করছে। আমরা কোনো শঙ্কা দেখছি না। ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীরবিক্রম), উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছেন। আশা করছি, নির্বিঘ্নে এ বছর দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে পারব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহ আজিজ বলেন, ‘শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছি। পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে কয়েকটি সভা করেছি। তাদের দাবির ভিত্তিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক ও আনসারদের পাশাপাশি পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত টহল দেবেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মণ্ডপগুলো নিয়মিত মনিটরিং করা হবে।’