Wednesday, June 25, 2025
Homeদেশগ্রামলালমোহনের ডাব যাচ্ছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়

লালমোহনের ডাব যাচ্ছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়


জাহিদ দুলাল, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:


ডাব নারিকেল। সংক্ষেপে সবাই ডাব বলে। ডাবের পানি ছোট বড় সকলেই পছন্দ করে। ডাবের পানির রয়েছে অনেক উপকারিতা। ডাব ব্যকটেরিয়া ও ভাইরাস দূর করে, ত্বক সুন্দর করে, ওজন কমায়, রয়েছে উন্নত পুষ্টিগুন, হজম সমস্যা সমাধান করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন উপকার করে। সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ। এই কারনে ডাবের চাহিদা এখন বেশি।

  
ভোলার লালমোহনের ডাবের কদর রয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে। প্রতিদিনই উপজেলার ডাব যাচ্ছে- ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও জয়পুরহাটসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলাতে। টাকার হিসেবে প্রতিদিন প্রায় ১৫ লাখ টাকার ডাব পাঠানো হচ্ছে এসব স্থানে।


জানা যায়, দেশের বিভিন্ন জেলাতে পাঠানোর জন্য লালমোহনে অন্তত ১০টি ভূষা মালের আড়তে ডাব সংগ্রহ করা হয়। এসব আড়তের আড়াইশ’র মতো হকার উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মালিকদের কাছ থেকে ডাব সংগ্রহ করেন। পরে তাদের সংগ্রহ করা ডাব নিয়ে বিক্রি করেন আড়তদারদের কাছে।
ডাব সংগ্রহকারী হকার মো. আবুল কালাম ও আব্দুস শহিদ বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে মালিকদের কাছ থেকে ডাব কিনি। তাদের থেকে প্রতি পিস ডাব গড়ে ৬০ টাকা দামে কেনা হয়। সংগ্রহ করা সেসব ডাব আড়তদারদের কাছে নিয়ে আবার গড়ে প্রতি পিস ৮০ টাকা করে বিক্রি করি। এতে করে দৈনিক মোটামুটি ভালো আয় হচ্ছে। যা দিয়ে সুন্দর করে সংসার চালাতে পারছি।


লালমোহন পৌরশহরের লঞ্চঘাট সড়কের আড়তদার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার প্রায় ১০ টি আড়তের হকাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব ডাব সংগ্রহ করেন। তার আড়তেরও দেড়শত হকার নিয়মিত ডাব সংগ্রহ করছেন। হকাররা মালিকদের কাছ থেকে প্রতি পিস ডাব ৬০ টাকা দরে কিনে আনেন। আড়তে আনার পর হকারদের প্রতি পিস ডাবের মূল্য দেওয়া হয় ৮০ টাকা করে।


আড়তদার রফিকুল ইসলাম আরও জানান, বছরের ৪ মাস বাজারে ডাবের ব্যাপক চাহিদা থাকে। তখন দামও ভালো পাওয়া যায়। বর্তমানে আমার আড়ত থেকে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার ডাব ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠাচ্ছি। এতে করে পরিবহণসহ অন্যান্য খরচ বাদে প্রতি পিস ডাবে গড়ে দৈনিক  আমার প্রায় পাঁচ টাকার মতো লাভ হচ্ছে। যাতে করে মাস শেষে মোটামুটি ভালো টাকা আয় হয়।


এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু হাসনাইন বলেন, বাজারে ডাবের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ডাব উৎপাদনে খরচ ও পরিশ্রম অনেক কম। আবার ডাব বিক্রি করে কৃষকরাও ভালো টাকা পাচ্ছেন। লালমোহনের ডাবে তেমন ক্ষতিকর কীটনাশক প্রয়োগ না করায় বিভিন্ন জেলাতে এখানের ডাবের ব্যাপক চাহিদা। এছাড়া, এ ডাব বিক্রির টাকায় লালমোহনের অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে। কর্মসংস্থানও হচ্ছে অনেকের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য