লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহনে মেয়ের জামাই এর কাছে জমি ক্রয়ের কথা বলে টাকা নিয়ে ফেরত না দেয়ায় এবং বিচার ফায়সালার কথা বলে ডেকে নিয়ে মেয়ের জামাই ও মেয়ের শ্বশুরকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বিকালে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের আসলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত মেয়ের জামাই মো. সুমন ও শ্বশুর রত্তন মাঝি বর্তমানে লালমোহন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান আহত মো.সুমন। উপজেলা ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আবুগঞ্জ এলাকার মো. রত্তন মাঝির ছেলে মো. সুমন জানান, একই ইউনিয়নের আসলী এলাকার দেলোয়ারের মেয়ে আকলিমা বেগমের সাথে শরিয়ত মোতাবেক আমাদের বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। আমাদের ঘরে বর্তমানে দুটি সন্তান রয়েছে।
সুমন আরো জানান, আমার শ্বশুর জমি কেনার জন্য আমার কাছ থেকে ছয়লক্ষ টাকা নিয়েছেন। এখন জমি ও দেন না, টাকা ফেরত দেন না। আমি জমি বা টাকা চাইতে গেলে তখন বিভিন্ন অজুহাত দিতেন। একপর্যায়ে আমার স্ত্রীকে ভুলিয়ে ভালিয়ে আমার কাছে থেকে তাদের বাড়ি নিয়ে যান। তার পর আমি কল করলে আমাকে আমার পরিবারের লোকজন নিয়ে তাদের বাড়ি যেতে বলেন এ বিষয়ে ফায়সালা করে দিবেন।
সোমবার বিকেল ফায়সালা করতে পাশ্ববর্তী মামা শ্বশুর বাড়িতে যান সুমন, তার বাবা ও ভাই। একপর্যায়ে আমাদের সাথে আমার শ্বশুর পক্ষের লোকজনের কথা-কাটাকাটি হয়। তখন আমরা চলে আসতে চাইলে আমাদেরকে পিছন থেকে আমার শ্বশুর দেলোয়ার, শ্বাশুড়ি, শালা, স্ত্রী ও অন্যান্যরা আমাদেরকে ধরে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। এসময় আমি, আমার বাবা ও ভাই গুরুতর আহত হই। আমাদের জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে এবং আমার কাছে থাকা স্মার্ট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
সুমনের বাবা রত্তন মাঝি জানান, আমার ছেলের শ্বশুর আমাদেরকে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে আমাদের সাথে থাকা সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। শালিশকারী মো. নবী মেম্বার জানান, জামাইয়ের সাথে হাতাহাতি হয়েছে এটা সত্যি, তবে বাবার গায়ে কেহ হাত দেয়নি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ছেলের শ্বশুর মো. দেলোয়ার মোল্লার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় এবং তাকে না-পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। লালমোহন থানার ওসি তদন্ত মো. মাসুদ হাওলাদার জানান, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।