জাহিদুল ইসলাম দুলাল, লালমোহন (ভোলা)
ভোলার লালমোহনে ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশনা মোতাবেক সংগঠনকে গতিশীল করতে সারা বাংলাদেশে উপজেলা/পৌর/সরকারী কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটির আওতাধীন ইউনিট সমুহেও কমিটি গঠনের নির্দেশনা আসে। ছাত্রদলের অন্তর্ভুক্ত ইউনিট সমুহে কমিটি গঠনে বিবাহিত,অছাত্র,মাদকাসক্ত বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে ত্যাগী, রাজপথের পরিক্ষিত ছাত্রত্ব বজায় রয়েছে এমন নেতাদের স্থান দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে কয়েকদিন আগে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ২টি কলেজ ও একটি মাদ্রাসায় কমিটি গঠন করা হয়। কয়েকটি ইউনিয়নের কমিটির তালিকাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করে ইউনিয়নে পদ পাওয়া ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। ঘোষিত কমিটিতে সন্তোষ প্রকাশ করতে পারেনি ইউনিয়ন ছাত্রদলসহ বিএনপি ও অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।ক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ নেতা-কর্মীরা। অনেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা এ আসনের সাবেক সাংসদ ও মন্ত্রী বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মেজর অবঃ হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রমের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তাৎক্ষণিক উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মো.মারুফ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রমের সঙ্গে পরামর্শক্রমে কমিটি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান। আরও কয়েকজন যুগ্ম আহবায়কও কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস প্রদান করেন। তাঁদের নির্দেশনাকে অমান্য করে ঘোষিত কমিটির আহবায়করা কমিটির তালিকা প্রকাশ করতে থাকে। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহবায়ক অবিবাহিত হওয়ার শর্ত থাকলেও চরভুতা ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহবায়ক সজিবুর রহমান বিবাহিত ও সে একজন মাদকাসক্ত, তার মাদকাসক্ত নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও লালমোহন ইউনিয়নের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল-নয়নের বিগত সময়ে দলে যথেষ্ট ত্যাগ ও শ্রম থাকলেও তিনি বিবাহিত বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে।বদরপুর উত্তরের আহবায়ক বিবাহিত,সদস্য সচিব মামুন হাওলাদার উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির বলে নেতা-কর্মীরা জানান। এছাড়াও ফরাজগঞ্জ, লর্ডহার্ডিঞ্জ, চরউমেদ (গজারিয়া) বদরপুর উত্তর, ধলীগৌরনগর দক্ষিণ শাখা, আহবায়ক সদস্য সচিবদের দলে বিগত সময়ের ত্যাগ, শ্রম নিয়ে সবার মনে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। এঁদেরকে স্থানীয় ইউনিয়ন নেতারা কেউ চিনেনা বলে জানা গেছে। বিগত সময়ে দলীয় কর্মকান্ডে এদেরকে কেউ দেখেনি। সম্প্রতি বসন্তের কোকিল হিসেবে এঁরা কমিটিতে পদ পাওয়ায় ইউনিয়ন নেতারা বিস্ময় প্রকাশ করেন। কমিটি হওয়ার আগে এক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে এঁরা পদ বাগিয়ে নিয়ে ওই নেতার পকেটের লোক হয়ে কমিটিতে এসেছেন। ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে ইউনিয়ন বিএনপির অনেক নেতা পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। তারা এসব কমিটি স্থগিত করে পূনরায় যোগ্য ও বিগত সময়ে দলে অবদান রয়েছে এমন নেতা-কর্মীদের দলে স্থান দেয়ার দাবি করেন, যারা মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রমের নির্দেশনাকে অমান্য করে কমিটির তালিকা প্রকাশ করে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত ছিলো তাদের বহিষ্কারের অনুরোধ জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রমকে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি রিসিভ করেননি।