লালমোহন(ভোলা)প্রতিনিধি
লালমোহন বদরপুর ইউনিয়নের যুবদলের দক্ষিণ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস মোল্লার রাজনৈতিক কেরিয়ার নষ্ট করার জন্য এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল উঠে পড়ে লেগেছে। আব্বাস মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, বদরপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ঢাকায় সবজি বিক্রেতা আবুল হোসেন মিয়াকে আমি ভালো করে চিনিনা।
গত ২৪ সালের ২ নভেম্বর আবুল মিয়ার ছেলের বিয়ে বাড়ি থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছি বলে অভিযোগ করে আবুল। প্রকৃত পক্ষে আমি এই ঘটনার কিছুই জানিনা।পরের দিন আবুল মিয়া বাড়িতে গিয়ে জানতে পারলাম আবুল এলাকায় থাকা অবস্থায় নাজিরপুরে একটি ইটের ব্রিকস ফিল্ডে চাকুরী করতেন সেই সুবাদে স্থানীয় নুর ইসলাম নামের এক ব্যক্তি থেকে ইট দেয়ার কথা বলে ৮৫ হাজার টাকা নেয় আবুল।
পরে তিনি ইট না দিয়ে পালিয়ে ঢাকা চলে যাওয়ায় তার কাছ থেকে টাকা তোলতে পারে নাই নুর ইসলাম। এবিষয়টি বিএনপির নেতা ফিরোজ তালুকদার সমাধান করে দেয়েছে বলে শুনেছি। তবে আবুল কেনো আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইন মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য দিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করেছে,আমি তার সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে সমাধানকারী ফিরোজ তালুকদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান আবুল মিয়া এলাকায় থাকতে নাজিরপুর এলাকায় মানিক ব্রিকস ফিল্ডে চাকরি করতেন।তখন নুর ইসলাম থেকে ৮৫ হাজার টাকা ইট দেওয়ার কথা বলে নিয়ে চাকরি ছেড়ে পালিয়ে ঢাকা যায়। ঘটনার দিন নুর ইসলাম আবুলকে পেয়ে টাকার জন্য চাপ দেয় পরে আমরা গিয়ে সমাধান করে দেই, তখন আবুল ৬৫ হাজার টাকা পরে দিবে বলে সময় নিয়েছে।এবং ২০ হাজার টাকা নুরুল ইসলামের হাতে নগদ তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।তবে এটি কোন চাঁদাবাজির ঘটনা নয় এবং আব্বাস মোল্লা এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়।
এবিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী মো: আব্বাস উদ্দিন,রিপন, সজিব জমাদার ও দেলোয়ার হোসেন কাদেরসহ আরো অনেকেই আবুল মিয়া মিথ্যা অপবাদ ও অপপ্রচারের নিন্দা জানিয়েছেন এলাকাবাসী তারা আরো জানান প্রকৃত ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হোক।