শনিবার রাতে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পিকআপভর্তি মরা ছাগল ভেড়া ও বিপুল পরিমাণ পচা মাংস জব্দ করে। এ সময় আটক করা হয় অভিযুক্ত চারজনকে। দীর্ঘদিন ধরেই এরা মরা ছাগল ও ভেড়ার মাংস রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কারাগার এবং নগরীর বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয় সরবরাহ করে আসছিল চক্রটি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলা এলাকায় ছাগল-ভেড়া মরলেই তারা সেটি সংগ্রহ করে ফ্রিজে রাখত। পরে দরদাম ঠিক করে গোপনে সরবরাহ করত মরা ছাগল ও ভেড়ার মাংস। অবশেষে ভোক্তা অধিকার আদালতে হাজির করা হলে তাদের এক লাখ ৬০ হাজার জরিমানা করা হয়। তবে এই অবৈধ কারবারে জড়িত আটক চারজনকে কোনো সাজা দেওয়া হয়নি।
আটকরা হলো— নগরীর দরগাপাড়ার মশিউর রহমান আপেল, কায়েস হোসেন, ফাইসাল হোসেন ও ফয়সাল হোসেন। তারা দীর্ঘদিন ধরেই মরা ছাগল কিনে রাজশাহী মহানগরীতে বিভিন্ন হাসপাতাল ও কারাগার ছাড়াও হোটেল-রেস্তোরাঁয় সরবরাহ করতেন বলে পুলিশকে জানিয়েছে। এসব ছাগল ভেড়া জবাই করার বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। দীর্ঘদিন ফ্রিজে রাখা ১৫০ কেজি পচা মাংসও জব্দ করা হয়।
রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দিনগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের বলিয়ার মোড়ে একটি পিকআপ (ঢাকা-মেট্টো-ন-১৬-৫২০৫) আটক করেন। পিকআপ তল্লাশি করে প্ল্যাস্টিকের ব্যাগে থাকা ১৫০ কেজি পচা মাংস, জবাই করা চারটি গোটা ছাগল ও ভেড়া এবং ২৭টি রুগ্ন ছাগল আটক করা হয়। রাজশাহী মহানগর ডিবির উপকমিশনার (ডিসি) জুয়েল আরফিন যুগান্তরকে বলেন, আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন— এসব মরা ছাগল-ভেড়া গ্রাম থেকে সংগ্রহ করেন। চাহিদা অনুযায়ী তারা এগুলো রাজশাহী কারাগার, হাসপাতালসহ বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয় সরবরাহ করে আসছেন। তিনি আরও বলেন, মাংসসহ আটককৃতদের বিভাগীয় ভোক্তা অধিকার আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের ১ লাখ ৬০ হাজার জরিমানা করেছেন। আটকদের আর্থিক জরিমানা করার কারণে তাদের অন্য কোনো সাজা দেওয়া হয়নি।