গ্যাস বা পেট্রোলচালিত অটোরিকশা চালকরা মিটারের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে জরিমানা বা কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। এর প্রতিবাদে রাজধানীর রাজধানীতে মোহাম্মদপুরে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা সড়ক অবরোধ করেছেন।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে ওইসব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন আফিসগামী মানুষ। অনেককে পায়ে হেঁটে অফিসে যেতে দেখা গেছে। এছাড়া অবরোধকারীদের যাত্রীসহ চলমান সিএনজি অটোরিকশা আটকে দিতে দেখা গেছে।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি সিএনজি ও পেট্রোলচালিত অটোরিক্সাকে মিটারে যাত্রী বহনের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি ইস্যু করে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। অন্যথায় চালকের বিরুদ্ধে মামলা এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সিএনজি অটোরিকশার দৈনিক জমা ৯০০ টাকা হলেও মালিকরা ১১০০-১২০০ টাকা নিচ্ছেন। আইনে শিফটিং পদ্ধতি না থাকলেও মালিকরা দুই-তিন শিফট চালিয়ে ১৬০০-১৮০০ টাকা আদায় করছেন। কোনো শ্রমিক আপত্তি জানালে চাবি রেখে দেওয়া বা চাকরি হারানো নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বাধ্যতামূলক মিটার ব্যবহারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজধানীর মিরপুর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, গণভবন ও কলেজ গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এতে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর আসাদ গেট থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তারা। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ওই জরিমানা ও কারাদণ্ডের আদেশ দেয় বিআরটিএ। বিআরটিএর নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৩৫(৩) ধারা অনুযায়ী রুট পারমিটপ্রাপ্ত অটোরিকশাগুলো যেকোনও গন্তব্যে যাত্রী নিতে বাধ্য। চালকরা মিটারের চেয়ে বেশি ভাড়া দাবি বা আদায় করতে পারবেন না। যদি কেউ এই নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তাহলে আইনের ৮১ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ছয় মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এছাড়া চালকের লাইসেন্স থেকে এক পয়েন্ট কেটে নেওয়ার বিধানও রয়েছে।