দেশের দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ন মাধ্যম হচ্ছে লঞ্চ।বিমানের মত যানজট বিহীন চলাচল করা যায় এই নদী পথে।প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ লঞ্চে যাতায়াত করে।ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে সদরঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে গুলিস্থান হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে যাওয়ার সময় মারাত্নক যানজটের সমুক্ষিন হতে হয়। যার ফলে অনেক সময় যাত্রীরা সদরঘাটে সময় মত পৌছতে পারেনা। ফলে যাত্রীরা তাদের নির্ধারিত লঞ্চ ধরতে পারে না, ফলে বিপদে পরে যায়। কারন প্রতিটি লঞ্চ ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় থাকে। এবং যাত্রীরা তাদের নির্ধারিত লঞ্চে অগ্রিম টাকা দিয়ে কেবিন বুক করে থাকে।

গুলিস্থান হতে সদরঘাটের দুরত্ব মাত্র ৩.৫০ কিঃ মিঃ। রাস্তা ফাঁকা থাকলে বাস যোগে যেতে সময় লাগবে মাত্র ১৬ মিনিট। অথচ প্রতিদিন গুলিস্থান হতে সদরঘাট যেতে সময় লাগে ২ হতে ২.৩০ ঘন্টা। বিশেষ করে ইংলিশ রোড হতে সদরঘাটের দুরত্ব মাত্র ১ কিঃ মিঃ । অথচ এই ১ কিঃ মিঃ যেতে সময় লাগে ১ হতে ১.৩০ ঘন্টা। প্রতিদিন ইংলিশ রোড হতে সদরঘাট পযন্ত রাস্তা ভোরে এবং বিকালে এক শ্রেনীর বাসের কারণে মারাত্নক যাটজট থাকে। এই বাসগুলো ট্রাফিক পুলিশকে টাকা দিয়ে রাস্তা দখল করে যাত্রী তোলার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। চরম ভোগান্তিতে পরতে হয় সাধারন যাত্রীদের। বাধ্য হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ল্যাগেজ ও মালামাল সহ বাস, সিএনজি বা প্রাইভেট কার হতে নেমে সদরঘাটের উদ্দেশ্যে পাঁয়ে হেটে যেতে হয়। আর পোহাতে হয় সীমাহীন কষ্ট। দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রীদের সীমাহীন দূর্ভোগ লাগবের জন্য গুলিস্থান টু সদরঘাট ৩.৫০ কিঃ মি বা ইংলিশ রোড হতে সদরঘাট ১.০০ কিঃমিঃ ফ্লাইওভার করার ব্যবস্থা করলে যাত্রীরা সময় মত সদরঘাট যাতায়াত করতে পারবে। এবং দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রীদের সীমাহীন দূর্ভোগ লাগব হবে। এ ব্যাপারে মাননীয় যোগাযোগমন্ত্রী এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করছি।