বাংলাদেশে লকডাউন দেওয়ার চিন্তা নেইঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

হঠাৎ করেই দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। কয়েকদিন ধরে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৬০ হাজার ৮৮৭ জন হয়েছে। এই রোগে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৮ হাজার ৫৯৭ জন। এই পরিস্থিতিতে দেশে লকডাউন দেওয়ার চিন্তা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।

আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কঠোর লকডাউনের বিষয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয় নাই। তবে আগের যে স্বাস্থ্যবিধি ছিল, সেগুলো বেশি বেশি করে মানা, সেগুলো প্রচার করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।‘আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- রেস্তোরাঁ, পরিবহনে ভিড় এড়ানো, সবাইকে মাস্ক পরানো, পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় যেন লোকজন ভিড় না করে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করণীয় বিষয়ে বৈঠকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যের ডিজি বলেন, সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার ওপর। এজন্য প্রয়োজনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য নিতে আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।এরপর ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বে তা ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম ৮ মার্চ করোনা শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। ওই সময়ে সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় অনেক দেশ লকডাউনে যায়।দেরিতে হলেও বাংলাদেশ লকডাউনে দেওয়া হয়। টানা ৬৬ দিন থাকে লকডাউন। সব অফিস আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কল-কারাখানা, বিপণি বিতান ও উপাসনালয় বন্ধ রাখার পাশাপাশি যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। মানুষকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। দেশের ১৮ কোটি মানুষও ঘরবন্দি দশার মধ্যে পড়ে। ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রেখেই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখার ভাবনা থেকে মাঝে পুরো দেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করে পরিস্থিতি অনুযায়ী লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা হয়েছিল। পরীক্ষামূলকভাবে কয়েকটি এলাকায় সেই ব্যবস্থা চালানোও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর তা এগোয়নি। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here