মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিন
ব্যবসা করা হালাল। সঠিক ভাবে ওজন করে মাল বিক্রি করা, ভোক্তার কাছে সঠিক দামে পন্য বিক্রি করা ব্যবসায়ীক মূল নীতি হওয়া উচিত। কিন্তু বিশ্বোর অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীদের সাথে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার ধরন আলাদা। আমাদের দেশের অধিকাংশ ব্যবসায়ী কিভাবে ক্রেতাদের ঠকিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা লাখ করা যায়, সেই চেষ্টায় ব্যস্ত থাকে।
বাজারের কোনএক জায়গায় দোকান বরাদ্ধ বা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনের ফুটপাত যেনো তা নিজস্ব সম্পত্তি হয়ে যায়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যত বড়ই হোক না কেনো, দোকানের সামনের জায়গা দোকনের মালামাল দিয়ে দখল করেন। কোন রেষ্টুরেন্ট করলে সামনের ফুটপাত দখল করে রান্নার চুল্লী রাখা হয়। সাধারন জনগনের হাটাচলার ফটুপাত হয়ে যায় ব্যবসায়ীর নিজস্ব সম্পত্তির মত। ফলে ফুটপাতে চলাচল করতে গিয়ে প্রায় ঘটে ছোট বড় দূর্ঘটনা। সাধারন জনগন চলাচল করার সময় অসাধানতাবসত ব্যবসায়ীর কোন মালামাল ক্ষতি হতে অসহায় জনগনের সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং এমনকি পথচারীর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করে। ঢাকা শহরের গুলিস্থান, মগবাজার, মতিঝিলের ফুটপাততো দীর্ঘদিন যাবৎ আবার কিছু অবৈধ ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীর দখলে। দুই সিটির মেয়র বড় বড় বক্তব্য দেন, কিন্তু ফুটপাত দখলমুক্ত হয় না, বা করেন না, বা করতে পারেন না।
ঢাকার বিভিন্ন বড় বড় শপিং মল হয়েছে। সেই শপিং মলের কোন পার্কি নেই। পাকিংয়ের জায়গায় দোকান বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। বড় বড় সেই শপিং মলের ক্রেতাদের জন্য গাড়ী পাকিংয়ের জন্য রাস্তার একটা লেন ব্যবহার করা হয়। রাস্তার সেই লেন প্রাইভেট কার বা পিকআপ ভ্যানের পাকিংয়ের দায়িত্বে থাকেন শপিং মলের নির্দিষ্ট কিছু লোক। সংশ্লিষ্ট এলাকার ট্রাফিক পুলিশ রাস্তার সেই লেন ব্যবহার করার জন্য পায় মাশোহারা। শুধু বলব যাহারা এসব দেখার তারা কি ঘুমিয়ে আছেন। ঘুমিয়ে থাকলে একুট জেগে উঠুন। জনসাধারনের ফুটপাত দখলমুক্ত করেন।