ভোলা প্রেসক্লাবের নব গঠিত প্রেসক্লাবের বিরেুদ্ধে বৃহস্পতিবার ভোলা সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা হয়েছে। ভোলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি প্রার্থী সামস-উল আলম মিঠুসহ ৬জন সাংবাদিক বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। আদালত নতুন কমিটিকে অবৈধ বলে কমিটির সকল কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন এবং জবাব চেয়ে রুল জারি করেছেন।
সাংবাদিকেরা হচ্ছেন জাতীর বিবেক। তারা দেশের মঙ্গলের জন্য পত্রিকার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার তথ্য বহুল সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করেন। দেশের অনিয়ম ও দূর্নীর্তি বন্ধে বিভিন্ন প্রকার সংবাদ প্রকাশ করেন। বিভিন্ন বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সাংবাদিকদের বুদ্ধিজীবি হিসাবে গন্য করা হয়। সেই সাংবাদিক সমাজের সংগঠন প্রেসক্লাব নিয়ে যখন মামলা হয়। কমিটি ঘটন করা নিয়ে অবৈধ কমিটি বলে মামলা হয়। আদালত যদি প্রেসক্লাবের কর্মকান্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাহলে সাংবাদিকদের মানুষ কি আর জাতীর বিবেক বললে, নাকি ধিক্কার দিবে। যাহারা ন্যাক্কারজনকভাবে ভোলা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচন অনুষ্ঠান না করে নিজেদের মনগড়া কিছু বিধি-নিষেধ জারি করে অবৈধ নির্বাচনের আয়োজন করেছেন, তারা কি বিবেকবান কোন মানুষ ? নাকি সাংবাদিকদের জাতীর কাছে হেয় করার জন্য কতিপয় সাংবাদিকদের নিয়ে এই জগন্য কাজ করেছেন। মামালার পরিনতি যাই হোক না কেন সেটা আদালতের বিষয়। কিন্তু যেভাবে নতুন কমিটি করার পদ্ধতি গ্রহন করা হয়েছে তা দেখে ডিজিটাল যুগের একটা বাচ্চা ও বুঝতে পারবে একটা সাজানো নির্বাচন হয়েছে। লালমোহনের প্রেসক্লাব নিয়েও একটি মামলা হয়েছিল। আদালতের রায়ে লালমোহনের বর্তমান প্রেসক্লাবের কোন বৈধতা নেই। কিছুদিন আগে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাচন হয়েছে। তা দেখে বাংলাদেশের সকল প্রেসক্লাবের অনুকরন করা উচিত। আর যেহেতু ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাব আছে। এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি সুন্দর গঠনতন্ত্র আছে। তাই বাংলাদেশের সকল জেলা ও উপজেলার প্রেসক্লাবকে জাতীয় প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র মোতাবেক চলা উচিত। এবং জাতীয় প্রেসক্লাব যদি দেশের সকল জেলা ও উপজেলার প্রেসক্লাব এর নির্বাচন পরিচালনা করা এবং সকল জেলা ও উপজেলার প্রেসক্লাব এর কমিটি অনুমোদন করার নিয়ম চালু করতে পারে, তাহলে দেশের অপসাংবাদিকতা কমবে। যেখানে সেখানে প্রেসক্লাবের নামে অবৈধ কমিটি করা সম্ভব হতো না। প্রেসক্লাবের নামে চাঁদাবাজী করা বন্ধ হবে।