বাংলাদেশের পাসপোর্টের বৈশ্বিক শক্তিমত্তা এক ধাপ উন্নতি পেয়ে ২০২৫ সালে ১৮১তম অবস্থানে এসেছে। আন্তর্জাতিক ট্যাক্স ও অভিবাসন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নোমাড ক্যাপিটালিস্টের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। দক্ষিণ এশিয়ার পাসপোর্টের অবস্থান তুলনামূলক দুর্বল। সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট মালদ্বীপের, যার অবস্থান ১০৪ তম এবং স্কোর ৬৫.৫। আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্টের অধিকারী, যা তালিকায় ১৯৯তম স্থানে অবস্থান করছে।
নোমাডের বৈশ্বিক ধারণা সূচকে বাংলাদেশে স্কোর ৩০, যা নির্দেশ করে যে বাংলাদেশের নাগরিকদের বিদেশে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সাধারণত সুখকর হয় না। এই স্কোর অনুযায়ী, যারা ৫০-এর নিচে স্কোর পায়, তাদের বিদেশে আতিথেয়তার চেয়ে বিদ্বেষের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বিজ্ঞানী স্বাধীনতার সূচকে বাংলাদেশের পাসপোর্টের স্কোর ১০, যা সর্বনিম্ন। এই সূচকে ১০ থেকে ২০ স্কোর পাওয়া দেশগুলোর নাগরিকরা সাধারণত নূন্যতম স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেন। নোমাড ক্যাপিটালিস্ট প্রতিবছর পাসপোর্টের বৈশ্বিক সূচক প্রকাশ করে, যা ভিসামুক্ত ভ্রমণ, করব্যবস্থা, বৈশ্বিক ধারণা, দ্বৈত নাগরিকত্বের সক্ষমতা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার মতো পাঁচটি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। বাংলাদেশের পাসপোর্টের স্কোর ৩৮, যা এই সূচকে দেশটির অবস্থান ১৮১তম করেছে। বর্তমানে, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ৫০টি দেশে ভিসামুক্ত বা অন অ্যারাইভাল ভিসা বা ই-ভিসা নিয়ে ভ্রমণ করতে পারেন।
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আয়ারল্যান্ড, যার পাসপোর্ট স্কোর ১০৯। আয়ারল্যান্ডের পাসপোর্টধারীরা ১৭৬টি দেশে ভিসামুক্ত বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারবেন। যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড এবং গ্রিস, যেখানে পাসপোর্টধারীরা ১৭৫টি দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণ করতে সক্ষম। ভারত ১৪৮তম এবং শ্রীলঙ্কা ১৬৮তম অবস্থানে রয়েছে, যেখানে স্কোর যথাক্রমে ৪৭.৫ এবং ৪৩.৫। ভূটান দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় শক্তিশালী পাসপোর্ট নিয়ে ১৪০ তম স্থানে রয়েছে, যার স্কোর ৪৯।
বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থান উন্নত হলেও, অন্যান্য দেশের তুলনায় তা তুলনামূলকভাবে দুর্বল। তবে, ভবিষ্যতে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আরও উন্নতি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।