নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগে আটককৃত যুবককে ছেড়ে দেওয়ার ৭ দিন পর পুনরায় আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বেগমগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভুক্তভোগী গৃহবধূ দেলোয়ার হোসেনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার বেগমগঞ্জের চৌরাস্তা এলাকা থেকে ধর্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনকে (২৬) আটক করে পুলিশ। দেলোয়ার উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুগা মিয়ার বাড়ির আবদুল মান্নানের ছেলে। এর আগে গত ২৪ জুন রাতে ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পর দিন সকাল ১১টার দিকে দেলোয়ারকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষককে ছেড়ে দেওয়ার ৭ দিন পর ভুক্তভোগী গৃহবধূ বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষককে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ করে। পরে এ ঘটনায় একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে পুলিশের টনক নড়ে। এরপর পুলিশ পুনরায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিত গৃহবধূর গত বছর সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। অভিযুক্ত যুবক গৃহবধূর সাবেক স্বামীর আপন মামাতো ভাই ছিল এবং তার স্বামীর বাড়িতেই সে তাকে জোরপূর্বক প্রথমে ধর্ষণ করে। বিষয়টি সে তার স্বামীর পরিবারকে জানালে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সে গত মার্চ মাসে বাবার বাড়িতে চলে আসে। আসামির প্রলোভনে স্বামীর সাথে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তালাক পরবর্তী দেলোয়ার বিয়ের প্রলোভনে একাধিক আবাসিক হোটেলে নিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে।