নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের সংঘর্ষের পর দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দুই পক্ষের কেউ আজকে রাস্তায় নামেনি। এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আজ বুধবার (২০ এপ্রিল) সকাল এমন চিত্র দেখা যায়।
আজ সকাল থেকে নীলক্ষেত-নিউমার্কেট এলাকার সড়কে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। সকাল ১০টায় মিরপুর রোডের এ অংশে কোনো যানজট দেখা যায়নি। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও সংঘর্ষের পর আজ নিউমার্কেটসহ আশপাশের মার্কেটগুলো খোলেনি। নীলক্ষেত-নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী বা কর্মচারীদের উপস্থিতি নেই।
ট্রাফিক পুলিশ আ. বারেক বলেন, দুই পক্ষের কেউ আজকে রাস্তায় নামেনি। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে মার্কেটের চার নম্বর গেটের ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মচারী বাপ্পী ও ক্যাপিটালের কর্মচারী কাওসারের মধ্যে সন্ধ্যায় কথা কাটাকাটি থেকেই সংঘাতের শুরু।
দুটি দোকানের মালিক আপন চাচাতো ভাই। ইফতারের সময় নিউ মার্কেটের ভেতরে হাঁটার রাস্তায় টেবিল পেতে বসে ইফতারের ব্যবস্থা করা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। বাগ-বিতণ্ডার একপর্যায়ে কাওসারকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বাপ্পী ওই জায়গা থেকে চলে যায়।
ওই দিন (সোমবার) রাত ১১টার দিকে বাপ্পীর সমর্থক ১০-১২ জন যুবক আসেন নিউমার্কেটে। এ সময় তারা হাতে রামদা নিয়ে আসেন। তারা ক্যাপিটাল দোকানটিতে গিয়ে কাওসারের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়ান। সেখানে কাওসার সমর্থকরা বাপ্পীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে মার্কেট থেকে বের করে দেন। বাপ্পী সমর্থকরা মার্কেট থেকে পালিয়ে গিয়ে কিছুক্ষণ পর ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি দলকে নিয়ে এসে মার্কেটে হামলা চালায়। এর পরই দুই পক্ষে সংঘর্ষ শুরু হয়।


















