মোঃ সোয়েব মেজবাহউদ্দিন
ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। সাম্প্রতিক জনশুমারি অনুযায়ী এই রাজধানীতেই বসবাস করে ৪ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ১০৭ জন লোক। যার মধ্যে ২ কেটি ২৪ লাখ ৮২২ জন পুরুষ এবং ২ কোটি ১৭ লাখ ২১ হাজার ৫৫৬ জন নারী। আর ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৭৭ জন। প্রতিদিন জীবিকার তাগিদে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুরুষ ও নারী এই রাজধানীতে আসা যাওয়া করে। যার ফলে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার রাস্তা যানজট লেগেই থাকে।
ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাকিত বিমান বন্দর শহরের মুল গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ মতিঝিল, ফার্মগেট, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর থেকে অনেক দুরে। এসব এলাকা হতে প্রাইভেট কার মাইত্রোবাস বা বাসে শাহজালাল আন্তর্জাকিত বিমান বন্দর যেতে সময় লাগে ২.৩০ থেকে ৩ ঘন্টা। আর সেই শাহজালাল আন্তর্জাকিত বিমান বন্দর থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, যশোর, বরিশাল এবং পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার যেতে বিমানে সময় লাগে ০.৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা। চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, যশোর, বরিশাল, সৈয়দপুর এবং পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার থেকে ০.৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টায় ঢাকা ফেরার পর রাজধানীর মতিঝিল, ফার্মগেট, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় পৌছতে সময় লাগে প্রায় ৩ ঘন্টা। যা সত্যই বিরক্তিকর ও অসহ্য যন্ত্রনাদায়ক। যাত্রীরা যানজটের যন্ত্রনার কারণে বিমানে ভ্রমন না করে রাজধানীর ভিতর হতে লাক্সারী বাসে করে ভ্রমন করে।
তাই আভ্যন্তরিক রুটের বিমানগুলো যাত্রী পায়না। সাম্প্রতিক এক সংবাদে জানা যায়, অনেক কোম্পানী প্রতিদিন লস হওয়ায় আভ্যন্তরিক রুটের বিমান বন্ধ করে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে কিছু কোম্পানী লস দিয়ে আভ্যন্তরিক রুটের বিমান চলাচল করছে। ৭৪ সিটের বিমানে যাত্রী সংখ্যা হয় ২০-৩০ জন। আনুসাংঙ্গিক খরচের পর বিমানের কোন লাভ থাকে না।
আভ্যন্তরিন বিমানগুলো যদি তেজগাঁও পুরাতন বিমান বন্দর হয়ে যাতায়াত করত তাহলে একদিকে যাত্রীদের যাতায়াতে শুবিধা হতো এবং আভ্যন্তরিক রুটের বিমানে যাত্রী সংখ্যাও বৃদ্ধি পেতো। বিশেষ করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, ফার্মগেট, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় লোকজন সহজেই আভ্যন্তরিক রুটের বিমানে যাতায়াত করতে পারত। কোটি কোটি টাকা খরচ করে আভ্যন্তরিন রুটে বিমান চালু করে আর বন্ধ করেত হতো না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করছি। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।