বাংলাদেশে ফিরে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা এবং অত্যাচারের অভিযোগের বিচার করবেন তিনি। সোমবার রাতে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় দলীয় কর্মীদের সেই আশ্বাসই দিলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা। আলোচনার একটি পর্যায়ে তিনি কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, “চিন্তা করবেন না। আসতেছি আমি।” সুত্র -আনন্দ বাজার পত্রিকা
গত বছরের অগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ছাড়েন হাসিনা। তার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ করেন তিনি। আওয়ামী লীগের সমাজমাধ্যমের পাতায় তা সরাসরি সম্প্রচারও করা হয়।
সোমবার রাতেও সে রকম একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সমাজমাধ্যমের পাতায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ওই আলোচনাপর্বে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সমস্যার কথা শোনেন আওয়ামী লীগের নেত্রী। কর্মী-সমর্থকেরা দাবি করেন, তাঁদের পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার চলেছে। তাঁদের আশ্বস্ত করে হাসিনা জানান, তিনি এই সব ঘটনার বিচার করবেন। বললেন, “আল্লাহ্ সেই জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছেন। চিন্তা করবেন না। আসতেছি আমি।” ওই আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন ‘অল ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ’-এর সভাপতি মহম্মদ নজরুল ইসলামও। তাঁরও দাবি, “বিচার একদিন হবেই। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই।”
১ ঘণ্টা ১১ মিনিটের ওই আলোচনায় আওয়ামী লীগের সরকারের আমলের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা টানেন হাসিনা। নিজের বক্তৃতার একটি বড় অংশ জুড়ে আক্রমণ শানান সে দেশের অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে। আওয়ামী লীগের নেত্রীর দাবি, “আমরা আমাদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে এমন ব্যবহার করিনি। কিন্তু ইউনূস (করছে) ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য।
” ইউনূসকে ‘সুদখোর’ এবং ‘মানবতাবিরোধী’ বলেও আক্রমণ শানান তিনি। গোটা বক্তৃতায় বার বার আসে ‘বিচারে’র কথা। হাসিনা বলেন, “যারা এই জঘন্য কাজ করেছে, তাদের বিচার বাংলাদেশে হতেই হবে। সেটি আমরা করবই। শহিদ পরিবারদের বলব, আপনারা ধৈর্য্য ধরুন।” বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’-এর মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান-সহ অন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দেওয়ার বার্তাও দেন তিনি।