Wednesday, June 25, 2025
Homeলাইফস্টাইলগ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সুপারিশ

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সুপারিশ

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে বিইআরসি। গতকাল রোববার সকাল থেকে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহিদ একেএম শামসুল হক খান অডিটোরিয়ামে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত গণশুনানি হয়। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের খুচরা মূল্য ১ টাকা ১০ পয়সা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে। খুচরা বিদ্যুতের মূল্য গড়ে ৭ টাকা ১৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮ টাকা ২৩ পয়সা করার সুপারিশ করা হয়। এতে গড়ে বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে ১৫ দশমিক ৪৩ ভাগ। এদিকে এই দাম বাড়ালেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। গত ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। গতকাল রোববার সকাল থেকে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহিদ একেএম শামসুল হক খান অডিটোরিয়ামে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত গণশুনানি শুরু হয়। এই শুনানিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কারিগরি কমিটি এই সুপারিশ করে। শুনানি চলে বিকাল পর্যন্ত।

শুনানিতে বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সদস্য আবু ফারুক, সদস্য মকবুল ই ইলাহীসহ সদস্য, সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা বললেও মানসম্মত সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেনি বিতরণ কোম্পানিগুলো। শুনানিতে পিডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতি টন কয়লার দাম ২৩০ ডলার এবং প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েলের দাম ৭০ টাকা হলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার ক্ষেত্রে ৪০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রয়োজন হবে। কিন্তু বিআরসি পাইকারি মূল্যবৃদ্ধিতে ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি নির্ধারণ করে দিয়েছে। কাজেই এই মূল্য কাঠামো ধরে দাম বাড়ানো হলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য