কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নাজমা বেগম (৬৫) নামে এক নারীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় অন্তত ৫ জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ভাওরখোলা ইউনিয়নের ভাওরখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মেঘনা থানার ওসি মো. আবদুল মজিদ বলেন, চেয়ারম্যান ফারুক আব্বাসীর নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি। এ ঘটনায় জড়িতরা এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। তাদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
নিহত নাজমা বেগম ওই গ্রামের আবদুস সালামের স্ত্রী। এ ঘটনায় আহতরা হলেন- আবদুস সালাম, তার ভাই সিরাজুল ইসলাম, ফারুক, মকবুলসহ ৫ জন। শুক্রবার সিরাজুল ইসলাম তার চাচাতো ভাই দিলবরের মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। সামনে ইউপি নির্বাচন হওয়ায় সিরাজের বাড়িতে আসার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি আব্বাসী। এজন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় আব্বাসীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সিরাজুল ইসলামদের ঘরে হামলা চালায়। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আব্বাসীর সঙ্গে বিরোধ চলছিল সিরাজুল ইসলামের। হামলাকারী এবং হামলার শিকার দু’পক্ষই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।