করোনার রূপ ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগের শেষ হতে না হতে ফের ভাইরাসের নতুন রূপের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। এমনই দাবি করেছেন ফ্রান্সের এক দল বিজ্ঞানী। ফ্রান্সের মেডিটেরানি ইনফেকশন নামে সংস্থার গবেষকরা কভিডের এই রূপের নাম দিয়েছেন ইহু।
গবেষকদের দাবি এই নতুন রূপটিতে ভাইরাসের অন্তত ৪৬টি মিউটেশন হয়েছে। ফলে এর সঙ্গে লড়াইয়ে কভিডের চলতি টিকাগুলি কার্যকরী না হতেও পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
IHU তথা B.1.640.2 স্ট্রেনটিতে ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন ফ্রান্সের ১২ জন নাগরিক। তাঁরা সকলেই আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুনে বেড়াতে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে ওই স্ট্রেনটির উৎস সেখানেই কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
ফ্রান্সের মার্সেই শহরে অনেকেই নিয়মিত আফ্রিকার দেশগুলোতে যাতায়াত করেন। বিশেষত ক্যামেরুনে তাঁরা বেশি যান। সে দেশ থেকে ভাইরাসের এই নয়া রূপ রোগীর শরীরে প্রবেশ করছে কি না তা বোঝার চেষ্টা করছেন গবেষকরা।
বর্তমানে করোনার ওমিক্রন রূপই বিশ্বে বিভিন্ন প্রান্তে প্রভাবশালী ভূমিকায় রয়েছে। কিন্তু ভাইরাসের এই নয়া রূপ ইহু কতটা সংক্রামক তা এখনও স্পষ্ট করে গবেষকরা কিছু জানা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে শুধু মাত্র ফ্রান্সেই কয়েক জন রোগীর শরীরে এর উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছে। তাই একে করোনার নয়া রূপ বলার আগে আরও খতিয়ে দেখতে চাইছে তারা।
এ প্রসঙ্গে একটি দীর্ঘ টুইট করেছন মহামারি বিশেষজ্ঞ এরিক ফেইগল-ডিং। তাঁর মতে এখন করোনার নতুন রূপগুলি একের পর এক আসতে থাকবে। তার মানে এই নয় যে তারা প্রত্যেকেই বিপজ্জনক। সংখ্যাবৃদ্ধি করার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে এটির বিপজ্জনক হয়ে ওঠা। মূল ভাইরাসটি থেকে কতগুলি মিউটেশন হচ্ছে তাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে তিনি জানিয়েছেন।
গত২৪ ডিসেম্বর প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খবর মেলে দক্ষিণ আফ্রিকায়। তার পর বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে করোনার এই রূপ। ইতোমধ্যেই ফ্রান্সের ৬০ শতাংশ করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী ওমিক্রন। ফলে নয়া স্ট্রেনের পক্ষে এই মুহূর্তে তাকে প্রতিস্থাপিত করা কার্যত অসম্ভব। গত ১০ ডিসেম্বর এই স্ট্রেনের প্রথম সংক্রমণের খোঁজ মিললেও এতদিনে ১২ জনের খোঁজ মিলল যারা এর দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন।
সূত্র-লাইভমিন্ট, ফার্স্টপোস্ট,হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অফ ইন্ডিয়া