Tuesday, June 24, 2025
Homeআইন-আদালতআগামী ২৮ অক্টোবর সব দলকে যেকোনো মাঠে সমাবেশ করতে বলেছে ডিএমপি

আগামী ২৮ অক্টোবর সব দলকে যেকোনো মাঠে সমাবেশ করতে বলেছে ডিএমপি

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে যারা সমাবেশ করতে চেয়ে ডিএমপিতে চিঠি দিয়েছিল তাদেরকে রাস্তা বাদে যেকোনো মাঠে সমাবেশ করতে বলেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপির যুগ্ন কমিশনার এসব কথা বলেন । তখন তিনি দুই দলের সমাবেশ ও জামায়াতে ইসলামকে নিয়ে ডিএমপির অবস্থান পরিস্কার করেন। সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিমপিতে চিঠি দেয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। তাদের চিঠির জবাবও দিয়েছে ডিএমপি।
বিপ্লব কুমার বলেন, আমরা প্রত্যেককেই চিঠি দিচ্ছি এবং দেব। রাজনৈতিক নেতারা যেন জনসাধারণের কথা চিন্তা করে রাস্তায় সমাবেশ না করে মাঠে সমাবেশ করে। এতে সাধারণ মানুষের উপকার হবে।
অনুমতির বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘কমিশনার স্যার আমাদের কাছে এই বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। সেই মতামত দেওয়ার জন্য ও অনুষ্ঠান চলাকালীন নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়েনর জন্য আমরা কিছু তথ্য তাদের কাছে জানতে চেয়েছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তারা যে স্থানের জন্য আবেদন করেছেন, সেখানে তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে না মর্মে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের চিঠিতে বলা হয়, সমাবেশে মুক্তাঙ্গন, জিরো পয়েন্ট, স্টেডিয়াম, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেট এবং গোলাপশাহ্ মাজার সংলগ্ন রাস্তায় ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার ও অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা। অনুষ্ঠানের অনুমতি ও ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি। চিঠির জবাবে সমাগমের সময়, সংখ্যা, বিস্তৃতিসহ বিভিন্ন তথ্য চেয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি জননিরাপত্তাজনিত কারণে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া না গেলে কোথায় হতে পারে এমন বিকল্প দুটি নাম চেয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির চিঠির জবাবে লোক সমাগমের সময়, সংখ্যা, বিস্তৃতিসহ নানা তথ্য চেয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া জননিরাপত্তাজনিত কারণে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া না গেলে কোথায় হতে পারে এমন বিকল্প দুটি নাম চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সমাবেশের লোক সমাগম কখন শুরু হবে এবং সমাবেশ কখন শেষ হবে? সমাবেশে কী পরিমাণ লোক হবে? সমাবেশটি নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ঠিক কোন কোন স্থানে পর্যন্ত বিস্তৃত হবে? সমাবেশে বক্তব্য প্রচারের জন্য কোন কোন স্থানে মাইক স্থাপন করা হবে? সমাবেশে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন কি না? সমাবেশে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে কি না? হলে, তার সংখ্যা কত? জননিরাপত্তাজনিত কারণে নয়াপল্টনে অনুমতি দেওয়া সম্ভব না হলে বিকল্প দুটি ভেন্যুর নামও প্রস্তাব করতে বলা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য