Wednesday, June 25, 2025
Homeআন্তর্জাতিকতৃণমূল কংগ্রেস ৪২ মুসলিমকে ম‌নোনয়ন দি‌য়েছে

তৃণমূল কংগ্রেস ৪২ মুসলিমকে ম‌নোনয়ন দি‌য়েছে

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভার নির্বাচনের আগে আরও একটি চমকপ্রদ খবর। ভারতের মুসলিম কমিউনিটির প্রভাবশালী নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসির নেতৃত্বাধীন এআইএমআইএময়ের রাজ্য  আহ্বায়ক জামিরুল হাসান নন্দীগ্রামে মমতার হয়ে প্রচার করবেন। তার সঙ্গে তার অনুসারীরাও তৃণমূল কংগ্রেসকে বিজয়ী করতে মাঠে লড়াই করবে। খবর জিনিউজের। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভায় প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল এআইএমআইএম। ফুরফুরা শরিফে এসে আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠকও করেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি। জানিয়ে দেন, ভাইজানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এরপর পানি গড়িয়েছে অনেক দূর। আব্বাস সিদ্দিকি যোগ দিয়েছেন বাম-কংগ্রেস জোটে। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে এআইএমআইএম-ও কোনো আলোচনাতেই নেই। ঠিক এই পরিস্থিতিতে মিম ছাড়ছেন রাজ্যে তাদের আহ্বায়ক জামিরুল হাসান। যোগ দিয়েছেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লিগে। তবে নির্বাচনে লড়াই করছে না তারা; বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।  ২৯১টি আসনের মধ্যে নারী প্রার্থী রয়েছেন ৫০ জন। মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যা ৪২। তফশিলি জাতি ৭৯ এবং তফশিলি উপজাতি সম্প্রদায় থেকে প্রার্থী করা হয়েছে ১৭ জনকে।

জি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জামিরুল হাসান বলেন, ‘আমরা অবিজেপি দলকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে। তাই তাকে সমর্থন করছি। নন্দীগ্রামে গিয়ে দলিত, আদিবাসী ও সংখ্যালঘুদের কাছে মমতাকে ভোট দেওয়ার প্রচারও করব।

তারপর নন্দীগ্রামের সভায় বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেছিলেন, ‘কার ভরসায় দাঁড়াবেন আপনি? ৬২ হাজারের ভরসায় দাঁড়াবেন! পদ্ম তো ২ লক্ষ ১৩ হাজার ভোটের ভরসায়, যারা জয় শ্রী রাম বলেন।’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে মোট ২৯৪ আসনের মধ্যে আজ ২৯১ আসনে তৃণমূল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এদের মধ্যে ৪২ জন মুসলিমকে প্রার্থী করা হয়েছে।

২৯৪ আসনের মধ্যে ৩টি আসন ছাড়া হয়েছে জোটসঙ্গী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার তার পুরোনো কেন্দ্র ভবানীপুরের পরিবর্তে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হয়েছেন।  ওই আসনে তার বিপরীতে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তারই একসময়ের অনুগত শুভেন্দু অধিকারী। যাকে মমতা তার মন্ত্রিসভায় পরিবহন মন্ত্রীও করেছিলেন।

তার এ ঘোষণার কারণে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যেতে পারে। একদিকে ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর বক্তব্যে তৃণমূল কিছুটা আতংকে ভুগছে। মুসলমানদের ভোট ভাগাভাগি হলে বিজেপির জয় নিশ্চিত হতে পারে। এবার জামিরুল হাসান মমতার পক্ষে মাঠে নামার পর সেই শংকা অনেকটা কমে যেতে পারে। 

নন্দীগ্রামে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট মুসলমানসহ অন্য ধর্মাবলম্বীদের। এর মধ্যে শুধু মুসলমানদের ভোটই ৩১ শতাংশের বেশি। শুভেন্দু দলত্যাগের পর সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য