ভোলার চরফ্যাশনে সাবেক এক পৌর কাউন্সিলরের দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী তার নির্মীত অবৈধ দেয়াল ভাঙ্গতে বাঁধা দিতে গিয়ে পা পিছলে পরে মাথা ফেটে যাওয়ার বর্তমান ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে চরফ্যাশন থানায় লিখিত অভিযোগ করাকে কেন্দ্র করে এলাকার টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে উভয়ে সাংবাদিকদের কাছে একে অপরকে দোষারোপ করে বক্তব্য দেন।
এ নিয়ে চরফ্যাশন থানায় লিখিত অভিযোগ করেন সাবেক কাউন্সিলর জয়নাল আবদিন। জয়নাল আবদীনের অভিযোগ, বিগত পৌর নির্বাচনে সামুর পক্ষে না থাকায় বুধবার সামু জোর পূর্বক তার বাড়ির প্রাচীর ভাঙতে শুরু করে। একই সঙ্গে তার স্ত্রীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।জয়নাল আবদীনের তার অভিযোগে আসামী করেন বর্তমান ৪নং ওয়ার্ডের চারবারের পৌর কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু ও তার ভাই মীরুকে।
কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু বৃহস্পতিবার তার বাসায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার জনকল্যানমুলক কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, আমি পরপর ৪বার নির্বাচিত কাউন্সিলর। আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবজির অভিযোগ প্রমান করতে পারলে আমি পদত্যাগ করবো। কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু বলেন, জয়নাল আবদীন ১৯৯৮ সালে ৫নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি ৪নং ওয়ার্ডে কলেজ পাড়ায় বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন। কয়েক বছর আগে তিনি প্রতিবেশী কলেজ শিক্ষক মো. মহিউদ্দিনের জমি দখল করে মাত্র দুই ফুট উচ্চতার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। এ নিয়ে গেল বছর পৌরসভায় সালিশি বৈঠকে সাবেক মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ ওই সীমানা প্রাচীর ভেঙে মহিউদ্দিনের জমি ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ উপেক্ষা করে জয়নাল আবদীন ফের সীমানা প্রাচীরের উচ্চতা বাড়াতে গেলে এলাকার জনপ্রিয় কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু নিজে উপস্থিত থেকে বুধবার হামার দিয়ে প্রাচীর ভাঙতে গেলে, তার ওপর জয়নাল আবদীন ও তার দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী হামলা করেন। এ সময় নিজেকে রক্ষা করতে না পেরে জয়নাল আবদীনের স্ত্রী মমতাজ বেগম গেটের ওপর পড়ে আহত হন।