Sunday, August 3, 2025
Homeশিক্ষা সংবাদঢাবির শতবর্ষে শিক্ষার্থীদের আবাসন ও পরিবহন ফি মওকুফ করেছে কর্তৃপক্ষ

ঢাবির শতবর্ষে শিক্ষার্থীদের আবাসন ও পরিবহন ফি মওকুফ করেছে কর্তৃপক্ষ

শতবর্ষের দিনে শিক্ষার্থীদের সুখবর দিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসন ও পরিবহন ফি মওকুফ করেছে দেশের সর্বোচ্চ এই বিদ্যাপিঠ। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সীমাবদ্ধতা এবং চাহিদা বিবেচনায় আবাসন ও পরিবহন ফি মওকুফ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতির কারণে মার্চ ২০২০ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও চাহিদা বিবেচনা করে মার্চ ২০২০ থেকে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ফি এবং সংশ্লিষ্টদের আবাসিক ফি মওকুফ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে যারা ওই ফি পরিশোধ করেছেন তা সমন্বয় করা হবে। এতে আরও বলা হয়, ইতোমধ্যে যারা ওই ফি পরিশোধ করেছেন তা যথাসময়ে সমন্বয় করা হবে। এর আগে গত ২৪ জুন সিনেট বাজেট অধিবেশনে আবাসন ও পরিবহন ফি মওকুফের প্রস্তাব রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন। সিনেটে বাজেট আলোচনায় তারা বলেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল, হলের বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিলসহ অন্যান্য খরচ বেঁচে গেছে। সেহেতু গত এক বছরের শিক্ষার্থীদের আবাসন ফি এবং একই সঙ্গে পরিবহন ফি নেওয়া যোক্তিক নয়। করোনার কারণে শিক্ষার্থীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় সেবা গ্রহণ না করেও আবাসন ফি, পরিবহন ফি দেওয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তাই এই দুই বছরের জন্য ফি-গুলো যেন সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হয়। মওকুফের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীরা আবেদন জানিয়েছে, সিনেটেও বিষয়টি উঠেছে। আমরা আলোচনা-পর্যালোচনা করে কোভিড-১৯ বিবেচনায় আবাসন ও পরিবহন ফি মওকুফ করেছি। যারা ইতোমধ্যে দিয়ে দিয়েছে তাদেরগুলো পরে সমন্বয় করা হবে।

প্রসঙ্গত, ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। ১৯২১ সালের এই দিনে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল এই প্রতিষ্ঠানের। তৎকালীন ব্রিটিশশাসিত বাংলায় এটিই ছিল একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরাধীন দেশে এবং রাজকীয় ক্ষতিপূরণ হিসাবে পশ্চাৎপদ এ অঞ্চলের মানুষকে শিক্ষাদীক্ষায় এগিয়ে নিতে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ১৬ মাস ধরে বন্ধ আছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ কারণে এমন দিনেও আজ জাঁকজমকপূর্ণ কোনো কর্মসূচি আয়োজন করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই দিনে শিক্ষার্থীরা সুসংবাদ পেল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য