জাহিদ দুলাল, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহনে আমের মুকুলের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে আমের বাগানগুলো। আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। আমগাছের সোনালী রঙের মুকুলে প্রকৃতি যেন নিজের খেয়ালে সাজিয়ে রেখেছে। মুকুলগুলো দেখতে যেমন ভালো লাগছে তেমনি মৌমৌ গন্ধে ভরে উঠেছে এলাকাগুলো। এ যেন মধু মাসের আগাম বার্তা দিচ্ছে প্রকৃতি। বাগানে মৌমাছির দল গুনগুন শব্দ করে মুকুলের থেকে মধু সংগ্রহ করতে দেখা যাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখা গেছে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার আমের বাগান গুলোতে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে ও বাসা বাড়ীতে রোপন করা আম গাছগুলোতে দেখা গিয়েছে সোনালী মুকুল।
লালমোহনের প্রতিটি বাড়িতে অন্যান্য গাছের সাথে বিচ্ছিন্ন ভাবে রোপন করা আম গাছ রয়েছে অনেক। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর অধিক পরিমানে মুকুল দেখা দিয়েছে। উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের মঙ্গলসিকদার গ্রামের মো. শামীম জানান, আমাদের বাগানে অন্যান্য গাছের সাথে প্রায় ২৫টির মতো আম গাছ রয়েছে। এবছর আমের মুকুল অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ঝড়, বন্যা না হলে এবার অনেক আম হবে বলে আশা করছি।
চরভুতা ইউনিয়নের কর্তার কাচারি এলাকার আনিছল হক মিয়া বলেন, আমাদের বাড়ির আম গাছগুলোতে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে। চারিদিকে ছড়াচ্ছে মুকুলের সুবাসিত মৌমৌ গন্ধ। প্রতি বছরই গাছগুলোতে আম ধরছে। তবে এ বছর মুকুল অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। আশা করছি ভালো ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, লালমোহনে এবছর প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে আম গাছ রয়েছে। এর মধ্যে বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে চাষাবাদে প্রায় কোটি টাকার বিভিন্ন প্রজাতির আম বিক্রি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমের জাতের মধ্যে রয়েছে স্থানীয়, আ¤্রপালি, বারি-৪, বারি-৮, বারি-১১ জাত।
লালমোহন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু হাছনাইন জানায়, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমচাষীদের বিনামূল্যে বিভিন্ন ধরনের উপকরণ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এই উপজেলায় আমের ভালো ফলন পাবে কৃষকেরা।