Tuesday, August 12, 2025
Homeরাজনীতি১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান: ওবায়দুল কাদের

১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড জিয়াউর রহমান: ওবায়দুল কাদের

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্টে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ সেই রক্তাক্ত ট্রাজেডির স্মৃতি বিজড়িত একুশে আগস্ট। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি, আমরা যারা শেখ হাসিনার সহকর্মী এবং কর্মী, আমাদের সকলের হৃদয়ে আজ রক্তক্ষরণ। আমাদের সকলের চোখে আজ হারানোর বেদনা, অশ্রু ঝরে বারে বারে। সেই ২০০৪ সাল থেকে শুরু করে অনেক বছর পেরিয়ে গেছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিএনপি নেতাদের একটি মিথ্যাচারের জবাব দিতে চান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা মিথ্যাচার করছে, আওয়ামী লীগ নাকি জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করছে। কী অদ্ভুত! দিবালোকে কেমন প্রহসনের নাটক! পঁচাত্তর কে ঘটিয়েছিল? জবাব দিন। বঙ্গবন্ধুর গোটা পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার টার্গেট কারা করেছিল? এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড পলাশীর সেনাপতি ইয়ার লতিফের উত্তরসূরী সেনাপতি জিয়াউর রহমান। ওই ঘাতক চক্রকে সেনাপতি জিয়াউর রহমান তার রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ ও ক্ষমতার অভিলাষ পূর্ণ করতে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করেছেন।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘৩রা নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর চারজন সহযোগি, মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট সংগঠক, আমাদের জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। ১৫ই আগস্টের ধারাবাহিকতায় এ ৩রা নভেম্বর। কে কাকে নিশ্চিহ্ন করে? কে টার্গেট সেদিন? বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে কারা অভ্যন্তরে চার নেতাকে হত্যা, এটা নিছক হত্যা নয়, এর পটভূমিতে, এর পেছনে আছে রাজনীতি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করি না, আমরা নিজেরাই ষড়যন্ত্রের শিকার হই। আমরা কাউকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছি এমন প্রমাণ বাংলাদেশের ইতিহাসে কেউ দেখাতে পারবে না। তারা (বিএনপি) বিদেশিদের বলে, আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। কিন্তু কীভাবে?’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ও তার দোসররা আমাদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে। আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে তাদের লড়াই থেকে তারা এখনো সরে আসেনি। আপনাদের মনে রাখতে হবে যে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে সমন্বিত রাখতে বিএনপিসহ তার দোসর ও অপশক্তিকে বাংলার মাটিতে রুখতে হবে। এদের প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে হবে। এদের রাজনৈতিক আন্দোলন পরাজিত করতে হবে। নির্বাচন ও লড়াইয়ে এদের পরাজিত করতে হবে। এই অপশক্তি, খুনি, দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী, ভোট চোর ও অপরাধী চক্রদের স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। এই দেশ তারা চায় না, তাদের দেশ পাকিস্তান। তাদের দেশ আফগানিস্তান। বাংলাদেশ তাদের হৃদয়ে নেই, তাদের হৃদয়ে পাকিস্তান। বাংলাদেশ তাদের হৃদয়ে থাকলে এতসব ঘটনা ঘটাতে পারত না।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপির সন্ত্রাসী ও রাজনৈতিক আশ্রয়কে না বলে দিয়েছে। তারপরও এরা ভালো মানুষ সাজতে চায়। মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির তালিকাতে এই সন্ত্রাসীদের নাম আছে। এই সন্ত্রাসীদের হাতে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ নিরাপদ নয়। এই সন্ত্রাসীদের হাতে আমাদের নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য