লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহনে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডবে দুই জন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তার মধ্যে একজন অজ্ঞাত ব্যাক্তির লাশ পাওয়া গেছে উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের দেবিরচর বেড়িবাধের পাশে নদীর মধ্যে ভাষমান অবস্থায়। অন্যজন হলেন লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের ফাতেমাবাদ এলাকার আয়েশা বেগম (৩০)। আয়েশা ওই এলাকার ফরিদের স্ত্রী বলে জানা যায়।
এদিকে লালমোহনের ভিবিন্ন এলাকায় প্রায় ৩ শতাধিক ঘর-বাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া আংশিক ক্ষতি হয়েছে আরো সাতশত বাড়ি-ঘর। সোমবার রাতে উপজেলার বিভিন্নস্থানে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এতে করে গাছপালা উপড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বাড়ি-ঘরের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ ঘোষ।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে লর্ডহার্ডিঞ্জ, ধলীগৌরনগর, ফরাজগঞ্জ ও রমাগঞ্জ ইউনিয়নে। যেখানে প্রচন্ড বাতাসে গাছ উপড়ে পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ঘর-বাড়ি। জেলায় এসব ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দুর্গোতদের জন্য আপাতত ১০ টন চাল বরাদ্দ রয়েছে।
অন্যদিকে, বিদ্যুতের তারের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে উপজেলাজুড়ে বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। এতে করে চরম দুর্ভোগে রয়েছে লালমোহনের মানুষজন। অনেকের মোবাইল ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক সমস্যা তীব্র আকাড় ধারণ করেছে লালমোহনে।
এব্যাপারে লালমোহন পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এ.কে.এম. ফজলুল হক বলেন, ঝড়ের তান্ডবে উপজেলার বিভিন্নস্থানে বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে। যার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকেই আমাদের কর্মীরা বিদ্যুতের লাইন মেরামতের জন্য কাজ করছে। আশা করছি শিগগিরই পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা সম্ভব হবে। তবে পৌরসভার বাহিরে বিদ্যুৎ চালু করতে সময় লাগতে পারে।