স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের সংবাদে প্রথম স্ত্রী গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন । অবশেষে মৃত্যূর কোলে ঢলে পরেন। সালমা ও জাহিদুল চাচাতো ভাইবোন। ৪ বছর প্রেম করে সংসার বাঁধেন। সংসারে সালমার কোলজুড়ে আসে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে। সালমাকে না জানিয়ে জাহিদুল গোপনে অন্যত্র বিয়ে করে নতুন সংসার শুরু করে।
নতুন সংসারের খবরে সালমার সাথে জাহিদুলের সাজানো সংসারে ফাটল ধরে। এনিয়ে স্বামীর সঙ্গে মনমালিন্যে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন সালমা। সোমবার ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে সালমার বিধবা মা রাবেয়া বাদী হয়ে হত্যার প্ররোচনায় অভিযোগ এনে মেয়ের জামাই জাহিদুলকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এর পর রাতেই জাহিদুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সালমার মা রাবেয়া বাদী হয়ে হত্যার প্ররোচনার অভিযোগে জামাই জাহিদুলকে আসামি করে মামলা করেন। এর পর রাতেই জাহিদুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে গত রোববার গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল মেট্রোপলিটন থানার ৪২নং ওয়ার্ডের বিন্দান মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সালমা একই এলাকার মৃত আজমত আলীর মেয়ে ও জাহিদুলের স্ত্রী।
ঘটনা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে স্বামীর বাড়িতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে গেলে প্রতিবেশীরা টের পায়। এর পর গুরুতর অবস্থায় তাকে গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু সালমার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢামেকে নেওয়ার আগে তাকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পর দিন সোমবার ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় সালমার। ঘটনা জানাজানি হলে সালমার পরিবারের লোকজন থানায় খবর দেয়। পরে পূবাইল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।