ন্যূনতম মজুরিবৃদ্ধির দাবিতে পোশাকশ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের ১৩০টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার কারখানাগুলোর প্রবেশপথে বন্ধের নোটিশ দেখা গেছে।
এ বিষয়ে সাভার শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মো. সারওয়ার আলম জানান, সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের ১৩০টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব এলাকার রোজ ড্রেসস লিমিটেড, অনন্ত গার্মেন্টস লিমিটেড, পাইওনিয়ার লিমিটেড, এআর জিন্স প্রোডিউসার লিমিটেড, আগমী অ্যাপারেলস লিমিটেড, ক্রসওয়্যার লিমিটেড, সাইন অ্যাপারেলস লিমিটেড, টেক্সটওন লিমিটেড, অর্নেট নিট গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে।
ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকার করার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে পোশাকশ্রমিকরা। তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে সরকার। ওই দিন বিকেলে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ ঘোষণা দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই আমরা এটা ঘোষণা করছি। ন্যূনতম মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়বে। ৮ হাজার টাকা থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা হবে। সঙ্গে বছরে পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট থাকবে।’
এরপর গত বৃহস্পতিবার এ মজুরি মেনে কাজ চালিয়ে যেতে পোশাকশ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমি গার্মেন্টস শ্রমিকদের বলব, যেটা (মজুরি) বাড়ানো হয়েছে সেটা নিয়েই তাদের কাজ করতে হবে। তারা কাজ করুক।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখনই সময় আসে তাদের সবরকম সুবিধা আমরা করে দেই। কিন্তু তারা যদি সেটা না করে, কারও প্ররোচনায় রাস্তায় নামে, তখন যারা তাদের উসকানি দিচ্ছে তারাই তাদের (শ্রমিকদের) লাশ ফেলবে। এরাই এমন অবস্থা সৃষ্টি করবে যে, তারা চাকরি হারাবে, কাজ হারাবে, গ্রামে যেয়ে পড়ে থাকতে হবে।’