মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবেন কিউইরা।
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিন থেকেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ।
সিরিজ সামনে রেখে অনুশীলনে ব্যস্ত টাইগাররা। ওদিকে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর থেকে বাংলাদেশের উইকেট বিশ্বের বাঘা বাঘা দলের জন্য আতঙ্কের বিষয় এখন।
সর্বশেষ সমাপ্ত ওই সিরিজে মিরপুরে সাকিব, নাসুম আর মোস্তাফিজে নাকানিচুবানি খেয়ে গেছে টিম অস্ট্রেলিয়া। মাহমুদউল্লাহ বাহিনীর কাছে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছে ম্যাথিউ ওয়েডের দল।
সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠছে— দুর্বল দল নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের মন্থর ও স্পিনসহায়ক উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার মতোই নাস্তানাবুদ হবে না তো নিউজিল্যান্ড?
এ বিষয়ে কিউইরা জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচগুলো থেকেই শিক্ষা নিয়েছেন তারা। বাংলাদেশের স্পিনবান্ধব উইকেটে কী করে সাকিব ও নাসুমদের ঘূর্ণিবল মোকাবিলা করা যায়, তার পরিকল্পনার ছক এঁকে রেখেছেন তারা।
এ বিষয়ে নিউজিল্যান্ড দলের নবীন অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্র বলেন, অবশ্যই আমাদের মানসিকভাবে শক্ত হতে হবে। আমরা নতুন পরিকল্পনা নিয়েছি। কারণ নিউজিল্যান্ডে স্পিনারদের বলে ওভারে ৮-১০ রান করা কষ্টকর নয়। টি-টোয়েন্টিতে সেখানকার ভালো হচ্ছে ওভারে ৮-১০ রান করা। কিন্তু এখানে (বাংলাদেশে) ওভারে ৬ রান করে তুলতে পারাটাই বড় কিছু। এতেই ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে তারা শিক্ষা নিয়েছেন জানিয়ে এই তরুণ অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমাদের এখানে রান তোলার আশা করতে হবে মাঝে ওভারগুলোতে। আমরা অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দিকে লক্ষ্য রেখেছি। সে হিসাবে আমাদের গড় স্কোর হবে ১৩০-এর মতো। আশা করছি, আমরা এ প্রত্যাশা পূরণ করে এগোতে পারব। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্পিনাররা যদি বেশ কিছু ডট বলও করে, তবু বিচলিত হওয়ারও কিছু নেই। আপনি যতক্ষণ ক্রিজে আছেন, ততক্ষণ সেটি পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকবে।’
অর্থাৎ উইকেট বাঁচিয়ে সাকিব-নাসুমদের স্পিন মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়াকেই শ্রেয় মনে করছে নিউজিল্যান্ড। তা হলে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার মতো ৬১ রানে গুঁড়িয়ে যেতে হবে না।
এর পরও সিরিজকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবেই নিয়েছে টিম নিউজিল্যান্ড। রাচিন বলেন, ‘বাংলাদেশে বল বেশি টার্ন করে এবং বেশিক্ষণ ধরেই করে। এটি আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং হবে। আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই এই কন্ডিশনে মানিয়ে নিয়ে গেম প্ল্যান করাও আসলে বেশ চ্যালেঞ্জিং।’
প্রসঙ্গত আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১০ সেপ্টেম্বরে শেষ হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ম্যাচগুলো হবে ১, ৩, ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর। সব ম্যাচই আয়োজিত হবে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ম্যাচ শুরু হবে বিকাল ৪টা থেকে।