রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যায় ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়। সেখানে চার ধরনের কার্যকলাপকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে সরকারি চাকরির নতুন বিধান জারি করেছে সরকার। এসব অপরাধের জন্য কোনো সরকারি কর্মচারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত, অপসারণ বা পদাবনমনের মতো দণ্ড দেওয়া যাবে।
বলা হয়েছে, সংসদ ভেঙে যাওয়ায় পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতির কাছে সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, এ বিষয়ে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। তাই সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশটি জারি করেন। গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ উপদেষ্টা কমিটিতে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের পর থেকেই সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর বিরোধিতা করে আসছেন।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী এমন কোনো কাজ করলে, যাতে অন্য কর্মচারীদের মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি হয় বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়; যৌক্তিক কারণ বা ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে; অন্য কোনো কর্মচারীকে কর্মবিমুখ করতে প্ররোচিত করলে কিংবা কাউকে কর্মস্থলে আসা বা কর্তব্য পালনে বাধা দিলে তাকে অসদাচরণের দায়ে দণ্ড দেওয়া যাবে। দণ্ড হিসেবে চাকরি থেকে অপসারণ, বরখাস্ত বা নিম্নপদে অবনমনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এই অধ্যাদেশ ঘিরে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, এটি সরকারি চাকরিজীবীদের মৌলিক অধিকার খর্ব করতে পারে। আন্দোলন কিংবা ন্যায্য দাবির পক্ষে কথা বললেই শাস্তির মুখে পড়তে হবে এমন শঙ্কা থেকে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের দাবি, আইনটি পাসের আগে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হওয়া উচিত ছিল।