টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খান ওরফে রফিক শহরের নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে সহ বহু রাজনৈতিকসহকর্মী ও শুভান্যুধায়ী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, ইদানিং রফিকুল ইসলাম খান কিছুটা ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার সকালে তাকে বাসায় রেখে স্ত্রী ও কন্যারা এক আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন। দুপুর গড়িয়ে গেলেও তিনি বাসার বাইরে বের না হওয়ায় প্রতিবেশিরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের খবর দেয়। পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর সহ আ’লীগ নেতারা এসে ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া না পেয়ে থানা থেকে পুলিশ এনে দরজা ভেঙে তাকে ঘরের সোফায় মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান। ধারণা করা হচ্ছে তিনি ষ্ট্রোক জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন।
রফিকুল ইসলাম খানের অকাল মৃত্যুতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদক প্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের) এমপি, টাঙ্গাইল-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।
বুধবার(৩১ মে) সকালে মরহুম রফিকুল ইসলাম খান ওরফে রফিকের গ্রামের বাড়ি দেলদুয়ার উপজেলায় তাকে দাফন করার কথা রয়েছে।