জাহিদুল ইসলাম দুলাল, লালমোহন প্রতিনিধিঃ
ভোলার লালমোহনে একই পরিবারের ৪ জন আক্রান্ত হলেন করোনায়। তার মধ্যে ২জন শিশু। ২য় শ্রেণির ছাত্র ৭ বছরের শিশু তালহা, দশম শ্রেণির ছাত্রী তাবাচ্ছুম (১৫)। শিশুদের করোনায় আক্রান্তের খরব পেয়ে আজ শনিবার (২৮ আগস্ট)রাতে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব কুমার হাজরা ফল নিয়ে হাজির হলেন তালহাদের বাড়ীতে। ইউএনএর সাথে উপস্থিত ছিলেন লালমোহন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শহিদুল ইসলাম।

তালহার বাবা দালাল বাজার সেরাজিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক আবুল বাসার জানান, তার পরিবারের সে বাদে ৪ জনের করোনা পজিটিভ আসে। এর মধ্যে তার ছেলে তালহা, মেয়ে তাবাচ্ছুম, তার স্ত্রী নাজমুন নাহার ও তার মা মাজেদা ইসলাম। মাজেদা ইসলামের অবস্থা শংকটাপন্ন থাকায় তিনি লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় রয়েছে। বাকীরা নিজ বাড়ীতে আছে। তালহাদের বাড়ি লালমোহন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড নূরবাগে। লালমোহন হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আজ লালমোহনে ৮জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময় ইউএনও পল্লব কুমার হাজরা এবং ডাঃ শহিদুল ইসলাম আবুল বাসার কে আগামী ১৪ দিনের জন্য বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করে বলেন, যেহেতু করোনা আক্রান্ত হয়েছে সেজন্য নিয়ম মেনে এবং ডাক্তারের পরামর্শমত ওষধ সেবন করতে হবে। ভয়ের কিছু নেই, নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ঔষধ সেবন করলে সকলেই ভালো হবে।
এর আগে লালমোহন বাজারে মাস্ক না পড়ায় ১৩ জনতে ৪হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করেন ইউএনও। পাশাপাশি ফল বিক্রেতারা ঠোঙ্গায় ভরে ফল বিক্রিতে ঠোঙ্গার ওজন (প্রায় ১শ ৩০ গ্রাম) বাদ দিয়ে ফল বিক্রির জন্য পরামর্শ দেন। ভবিষ্যতে যদি ঠোঙ্গাসহ ওজন করে ফল বিক্রি করা হয় তাহলে ভোক্তা অধিকার আইনে ফল বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জনানা ইউএনও।