Sunday, December 14, 2025
Homeদেশগ্রামলালমোহনে একটি কালভার্টের সমস্যায় সীমাহীন দুর্ভোগ চার গ্রামের মানুষের

লালমোহনে একটি কালভার্টের সমস্যায় সীমাহীন দুর্ভোগ চার গ্রামের মানুষের

জাহিদুল ইসলাম দুলাল, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ 

ভোলার লালমোহনে চার গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন একটি কালভার্ট সংস্কারের অভাবে।দীর্ঘদিনেও তা মেরামত বা নতুন করে নির্মান না করায় বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল। তাই বাধ্য হয়ে হেটে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারী ও এলাকাবাসী। তবে বেশী সমস্যায় পড়ছে পন্যবাহি ছোট ছোট যানবাহন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কালভার্টি মেরামতেরর বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বার বার বলার পরেও কোন কাজ হয়নি। প্রায় ১২ বছর আগে কালভার্টটি নির্মান করা হয়েছিলো। এক বছর পূর্বে মালামাল নিয়ে পার হতে গিয়ে কালভার্টটি ভেঙ্গে যায়। স্থানীয়রা জানায়, লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের সৈনিক বাজার থেকে দেওয়ান কান্দি সড়কের উত্তর ইলিশা কান্দি গ্রামের মাথায় কালভার্টটি নির্মান করা হয়েছিলো। এটি রায়পুরা কান্দি, গনেশপুরা কান্দি, দেওয়ান কান্দি ও উত্তর ইলিশা কান্দি এ চার গ্রামের মানুষের চলাচলের এতমাত্র ভরসা। কিন্তু প্রায় দুই বছরের বেশী সময় ধরে কালভার্টটি নাজুক অবস্থা পড়ে রয়েছে। ভারী যানবাহনের চাপে এক বছর আগে এটি ভেঙ্গে যায়। এরপর সেটি আর মেরামত করা হয়নি। এই সড়ক দিয়েই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও পথচারিরা চলাচল করলেও কালভার্টটি ভেঙ্গে পড়ায় তাদের যাতায়াত করতে কস্ট হচ্ছে। মাঝে মধ্যে পানিতে ডুবে থাকে রাস্তাটি। ইলিশা কান্দির বাসিন্দা মাদ্রাসা শিক্ষক মোশারেফ হোসেন জানান, কালভার্ট এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য একমাত্র ভরসা। কিন্তু সেটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এই সড়ক দিয়ে কোন যানবাহন চলতে পারছে না। বেশী সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ধান, চাল বা অন্য পন্যবাহি কোন পরিবহন। উত্তর ইলিশা কান্দির বাসিন্দা মোঃ সাগর, দেওয়ান কান্দির বাসিন্দা রিপন ও ইলিশা কান্দির বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম জানান, কালভার্টি চারটি গ্রামের মানুষ সংযোগ স্থল। এ পথ দিয়ে এলাকাবাসী যাতায়াত করে। রিক্সা, সাইকেল, অটোরিক্সা ও ভ্যান চলাচল করতো। তবে কালভার্টটি ভাঙ্গা থাকায় তাদের অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হয়।তখন মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য তছির আহমেদ জানান, কালভার্টটির কারনে জনগন অনেক ভোগান্তি পোহাচ্ছেন, এটি ইউনিয়ন পরিষদকে জানানো হয়ে তবে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। 

এ ব্যাপারে লালমোজন উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী বিল্লাল হোসেন বলেন, এডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে ওই স্থানে খুব শিঘ্রই নতুন করে একটি কালভার্ট নির্মান করা হবে। এটি নির্মান হলে মানুষের ভোগান্তি থাকবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য