লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহনের রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোতাহার উদ্দিনের বিরুদ্ধে দোকানপাট লুটের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগ করেছেন ওই ওয়ার্ডের কর্তারহাট এলাকার মোতাহার খাঁ বাড়ির আবুল বশার মিন্টু।
অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের ও ক্রয়কৃত জমি রেকর্ডে কিছু সমস্যা হয়েছে। একজনের জমি অন্য জন্যের নামে চলে গেছে। এজন্য আমি প্রথমে গ্রাম আদালতে মামলা করি। গ্রাম আদালতে বিচারে বিলম্ব হওয়ায় আমি কোর্টে গিয়ে মামলা দায়ের করি। এর আগ থেকেই ক্রয়কৃত জমির অংশ নিয়ে প্রতিবেশি বাবুল, আবদুল খালেক, আবদুল মালেক ও ইউসুফ গংরা বিভিন্নভাবে হয়রানি করে।
আবুল বশার মিন্টু আরো অভিযোগ করেন, স্থানীয়ভাবে শালিসে না বসে আদালতে মামলা করায় ক্ষিপ্ত হন ইউপি সদস্য মো. মোতাহার উদ্দিন। এক পর্যায়ে তার দুই ছেলে ইকবাল ও সুমেজসহ কয়েকজন মিলে শনিবার (১১ মার্চ) রাতে আমার ভাই ইব্রাহিমের মা বস্ত্র বিতান নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। পরে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। ঘটনাস্থলে রমাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তাফা উপস্থিত হলে তার সামনেই ফের হামলার চেষ্টা করে তারা। এ সময় আমাদেরকে লক্ষ্য করে বালতি নিক্ষেপ করলে তা ১নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আলী আহাম্মদ মিয়ার কপালে পড়ে। এতে তিনি গুরুতর আহন হন। এ ঘটনার পরও থেমে না থেকে মোতাহার তার লোকজনসহ আমার বাকপ্রতিবন্ধি ভাতিজা ইয়াজ হোসেনকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এরপর থেকে আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাজারের ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে নানাভাবে হুমকি-ধামকি প্রদান করছে ইউপি সদস্য মোতাহার উদ্দিন। তার এমন কর্মকান্ডে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সঠিক বিচার কামনা করছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মোতাহার উদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে সবগুলোই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যার কোনো সত্যতা নেই।
এ ব্যাপারে রমাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা মিয়া বলেন, একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। আমি দুই পক্ষকে নিয়ে বসে এর সুষ্ঠু সমাধানের ব্যবস্থা করবো।
