দেশের নৌপথে চলাচলকারী লঞ্চের ভাড়া দ্বিগুণ করতে চান লঞ্চ মালিকরা। লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকার তেলের দাম বাড়ানোর কারণে লঞ্চ ভাড়াও শতভাগ বাড়াতে হবে।
বুধবার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করার পরদিনই বৃহস্পতিবার এলপি গ্যাসের দামও বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। তেলের মূল্য বাড়ানোর পর শুক্রবার সকাল থেকে সারা দেশে পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকরা ধর্মঘট শুরু করেছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকারকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন তিনি। এরপরই বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যানের কাছে একটি লিখিত আবেদন করেন লঞ্চ মালিকরা। এতে ভাড়া ভাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।
এদিকে শুক্রবার রাজধানীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে করে আমাদের পক্ষে লঞ্চ পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।
এরপরই লঞ্চ মালিকদের ভাড়া বাড়ানোর এ আলটিমেটাম দেওয়া হলো। বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের উদ্দেশে লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত আবেদনে যাত্রীবাহী লঞ্চের পরিচালন ব্যয় ও সদ্য জ্বালানি তেল ডিজেলের মূল্য লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির ফলে যাত্রী ভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১.৭০ টাকার পরিবর্তে ৩.৪০ টাকা ও ১০০ কিলোমিটারের উপরে ১.৪০ টাকার পরিবর্তে ২.৮০ টাকা নির্ধারণ করা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ২৩ শতাংশ। স্টিলের দাম বেড়েছে ২০-২৫ শতাংশ। সব কিছু মিলে আমরা ভাড়া শতভাগ বৃদ্ধির প্রস্তাব করব। এখনই লিখিত প্রস্তাব পাঠাব।