লক্ষ্মীপুরে শনিবার ভোরে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ইকোনো পরিবহণের একটি বাসের ভেতরে সুপারভাইজারকে ঘুমন্ত অবস্থায় পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত সুপারভাইজারের নাম রিয়াদ হোসেন লিটন। তিনি স্থানীয় মান্দারী ইউনিয়নের মোহাম্মদ নগর গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় গাড়িচালক নাহিদকে পুলিশ আটক করলেও এখন পর্যন্ত হত্যার কারণ জানা যায়নি।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি মো. জসীম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইকোনো গাড়ির ভেতর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। আমরা গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নিহত সুপাভাইজারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসটি (ঢাকা মেট্টো-ব ১৫-০১০৩) রাত ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর আসে। পরে যাত্রীদের বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়ে গাড়িটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে দাঁড়ায়। গাড়িতে নতুন একজন হেলপার, সুপারভাইজার লিটন, পুরাতন স্টাফ শিপন ও চালক নাহিদ ছিলেন বলে জানায় পুলিশ। এসময় চালক ও পুরাতন স্টাফ তাদের নতুন হেলপার এবং সুপার ভাইজারকে রেখে বাসায় ফিরেন। এর পর সুপারভাইজার ও নতুন হেলপার গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে ভোর ৪টার দিকে চালক এসে গাড়ির ভেতরে সুপার ভাইজার লিটনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় চালক স্থানীয় লাইনম্যান সেলিমকে খবর দিলে পুলিশকে ঘটনা অবহিত করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর থেকে নতুন হেলপার পলাতক রয়েছে। তার পরিচয় জানাতে পারেনি কেউ। এ ঘটনায় পুলিশ গাড়ির চালক নাহিদকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে। চালক নাহিদ রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহরিয়ারের ছেলে।