নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
চলমান কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট দিয়ে হাজার হাজার লোক ঢাকা ও চট্রগ্রাম অভিমুখে কর্মস্থলে রওয়ানা হয়েছে। সরকার গতকাল হঠাৎ করে রপ্তানিমুখী শিল্প কলকারখানা খুলে দেয়ায় বাধ্য হয়ে চাকুরী বাঁচাতে তাদের কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে।

সকাল থেকে বিরূপ আবহাওয়া উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে কিংবা রিকশায় ইলিশা ফেরিঘাটে জড়ো হতে থাকে হাজার হাজার মানুষ। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে কেউ কেউ লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয় পায়ে হেঁটে। যারা কোন রকম বাহন পেয়েছে তাদের গুনতে হয়েছে কয়েকগুণ বেশি টাকা। একটা ফেরী আসলেই প্রচন্ড ভীড়ের মধ্যেই হুমড়ি খেয়ে একটু খানি জায়গা করে নিচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। বহু মানুষ ফেরীতে জায়গা না পেয়ে অপেক্ষা করছে তীরে। সাস্থ্যবিধি পুরাই অমান্য করা হচ্ছে। কেউ কেউ উত্তাল মেঘনায় কাঠের নৌকা বা ট্রলারে মেঘনা পাড়ি দিচ্ছে। এদিকে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় বড় ধরনের বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। মজু চৌধুরীর ঘাট থেকে পড়তে হচ্ছে বড় ধরনের দূর্ভোগে।
গত কয়েকদিন ভোলায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। সংক্রামণের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হার। সংক্রামণ ছড়িয়ে পরেছে গ্রামেগঞ্জে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঝুঁকিপূর্ণ এই যাত্রা করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপে আবির্ভাব হওয়ার আশংকা করেন কেউ কেউ। ৫ আগষ্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের মধ্যে হটাৎ করে ১ তারিখ তৈরি পোশাক কারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তকে হঠকারিতা বলছেন অনেকে।