Tuesday, August 12, 2025
Homeআইন-আদালতরাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে দুর্ধর্ষ দুই গ্রিল কাটা চোরকে গ্রেফতার

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে দুর্ধর্ষ দুই গ্রিল কাটা চোরকে গ্রেফতার

রাজধানীর দুর্ধর্ষ দুই গ্রিল কাটা চোর মো. জাকির হোসেন ওরফে জ্যাক (৪৪) ও মো. নূর জামাল ওরফে জামাল (২৬)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জ্যাক ও জামাল চুরি করতে বের হন রাত ২টায়। চুরি করে বাসায় ফেরেন ভোর ৬টায়। এই চার ঘণ্টার মধ্যেই তারা সব চুরি করে। দুইজনের মধ্যে জ্যাক গ্রিল ও তালা কাটেন। গ্রিল কিংবা তালা কাটতে তার সময় লাগে সর্বোচ্চ চার সেকেন্ড। কাটার পর দোকানে ঢুকে মালামাল চুরি করেন জামাল।তার পুরো চুরি করতে সময় লাগে মাত্র চার মিনিট! এক রাতেই তারা কয়েকটি দোকান চুরি করেন। দুই চোর আরও জানান, চুরি করা এবং চুরির মালামাল বিক্রির সুবিধার্থে পিকআপ কেনেন জ্যাক। সেই পিক আপে ঘুরে ঘুরেই তারা চুরি করে! সাত বছরে রাজধানীজুড়ে দেড় শতাধিক চুরি করে এই জ্যাক-জামাল জুটি।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে দুর্ধর্ষ দুই গ্রিল কাটা চোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানান জ্যাক ও জামাল। গতকাল শুক্রবার দুপুরে মোহাম্মদপুর থানার  জাফরাবাদ এলাকা থেকে জ্যাক ও জামালকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরির সরঞ্জাম এবং একটি পিক আপ উদ্ধার করা হয়। মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, শুক্রবার দুপুরে মোহাম্মদপুর থেকে চোর জ্যাক ও জামালসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগেও চুরির ঘটনায় জ্যাকের বিরুদ্ধে চারটি ও জামালের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। বিগত ৬ মাস আগে জনৈক আসাদুজ্জামান নূরের নিউ মিউজিক এশিয়া নামের এক দোকান থেকে দুর্ধর্ষ এক চুরির ঘটনায় পুলিশের  তদন্তে উঠে আসে জ্যাক- জামালের নাম। ২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মিরপুর বড়বাগ পলিভিটা বেকারি এলাকায় সংঘটিত সেই চুরিতে বিভিন্ন ব্রান্ডের ২৩টি মোবাইল সেট, একটি ল্যাপটপ, ২০টি মেমোরি কার্ড, ৫০০ রিচার্জ কার্ড, নগদ অর্থসহ আনুমানিক এক লাখ ৫২ হাজার ৭৭৫ টাকার মালামাল চুরি করে জ্যাক-জামাল। 

সেই চুরির দীর্ঘ তদন্ত শেষে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জ্যাক-জামালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোহেল (৩৫) নামের আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোহেল জ্যাক-জামালের কাছ থেকে চুরি করা মালামাল কেনে।

আসামিদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, জ্যাক-জামাল সাত বছরে দেড় শতাধিক চুরি করেন। এক রাতে তারা সর্বোচ্চ চারটি পর্যন্ত চুরি করেছেন। চুরির টাকায় চুরির জন্য তারা শুধু গাড়িই কিনেননি, আলাদা বাসাও ভাড়া করেছেন! সব মালামাল একসঙ্গে বিক্রি করলে ধরা পড়ার আশঙ্কা থাকে তাই ওই বাসাকে গুদাম হিসেবে ব্যবহার করে সেখানেই চুরির মালামাল রাখতেন তারা।পুলিশ জানায়, জ্যাক-জামালের মূল টার্গেট ছোট ছোট দোকান। সাধারণত রাস্তার উপর থাকা ছোট ছোট পান-সিগারেটের, মোবাইল রিচার্জের, মুদির দোকানই টার্গেট করে তারা। কারণ এসব দোকানদার সাধারণত অপেক্ষাকৃত নিম্ন আয়ের হয়। তাই চুরি করলেও তারা মামলা করে না। এ কারণেই দেড় শতাধিক চুরি করলেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা খুবই কম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বাধিক জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য